ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি: শিক্ষামন্ত্রী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনে হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি: শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ফাইল ফটো

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক জীবনে কোনো ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত নেননি বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।  

সোমবার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রাসাদ মজুমদার সভায় সভাপতিত্ব করেন।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ দেখতে পেতেন। তিনি গোড়া থেকেই পূর্ববাংলার স্বাধীনতার কথা বলেছেন। তার ছয় দফা ছিল স্বাধীনতার সেতু। তাই পাকিস্তান তা মেনে নিতে পারেনি। পাকিস্তান সব সময় চেয়েছে তাকে রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে রাখতে। তিনি ধাপে ধাপে স্বাধীনতার জন্য বাঙালিকে তৈরি করেছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণে তিনি নিরস্ত্র বাঙালিকে একটি সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তিনি এ ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। তারও একটা যোক্তিকতা ছিল। তিনি চেয়েছিলেন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে যেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে। যখনই পাকিস্তান পূর্ববাংলায় গণহত্যা শুরু করলেন তখনই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। তখনই সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষ আমাদের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা।  

তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এবং তাদের এ দেশীয় দোসর, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকরা এক ও অভিন্ন। ষড়যন্ত্রকারীরা চিহ্নিত। তারা এখনও বিভিন্নভাবে সক্রিয়। তাই সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সব রকমের ভণ্ডামি ভুলে সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে হবে। গণতন্ত্রের নামে ধর্মীয় সন্ত্রাস মেনে নেওয়া যায় না।  

বঙ্গবন্ধু অপরাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মানুষের অধিকার-অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের পক্ষে রাজনীতি করেছেন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যে আদের্শের রাজনীতি করে তা উদার মানবতাবাদী, অসাম্প্রাদায়িক রাজনীতি। সেই রাজনীতির বিরোধীতা করা ভিন্ন ধারার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। অর্থাৎ পুরোটাই নেতিবাচক। একটি আদর্শের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান। তাদের নিজস্ব কোনও আদর্শিক অবস্থান খুঁজে পাওয়া যায় না। তারা নিজেদের আদর্শকে সামনে আনছেন না। কারণ মানুষ হত্যা করা, ষড়যন্ত্র করা, অগ্নিসন্ত্রাস করা এগুলো কোনও আদর্শ হতে পারে না, এগুলো রাজনীতির উপাদান হতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
এসকেবি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।