মাদারীপুর: দুইদিন ছুটি নিয়ে প্রায় পাঁচ মাস ধরে স্পেনে স্বামীর কাছে থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ হচ্ছে অবশেষে। স্পেনে থাকা অবস্থায় কৌশলে তিনি প্রতি মাসেই বেতন তুলতেন।
এরই মধ্যে ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ চারজনকে শোকজ করা হয়েছে।
ওই শিক্ষিকার নাম সোনিয়া আক্তার। তিনি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ১০ নম্বর পূর্ব কাচিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। গত ২৮ মার্চ দুইদিনের ছুটি নিয়ে তিনি আর স্কুলে আসেননি।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছেন।
শিবচর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক আমাকে কোনোভাবেই জানাননি যে ওই শিক্ষিকা দেশের বাইরে বা মেডিক্যাল ছুটিতে আছেন। ফলে আমি বেতন বন্ধ করার মতো কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও)মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। একই সঙ্গে গত চার মাসের বেতন ফেরত এনে চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমি যতটুকু জানি, ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করা হয়েছে। আমি শিবচরের টিইওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি বলেছেন, বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
এসআই