বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হয়রানি ও দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দুলাল কৃষ্ণ মালাকারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষকদের অভিযোগ, দুলাল চাকরি করেন উচ্চমান সহকারী পদে।
গত ৩০ জুলাই বরগুনা সদর উপজেলার ৪১ জন শিক্ষক একযোগে লিখিতভাবে ছয়টি অভিযোগ দেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
পরে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এম এম মিজানুর রহমান। তিনি জানান, সোমবার (২৯ আগস্ট) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মুহিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বরখাস্তের তথ্য জানানো হয়। গতকাল আমরা আদেশটি হাতে পেয়েছি।
অফিস আদেশে বলা হয়, বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দুলাল কৃষ্ণ মালাকার ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের জেলা হিসাব রক্ষণ অফিস বরগুনা কর্তৃক ইস্যুকৃত বিভিন্ন খাতের ৪৮টি চেকে মোট বরাদ্দকৃত এক কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ৫০১ টাকার চেক ব্যাংকের নির্ধারিত (২৬ জুলাই, ২০২২) সময়ের মধ্যে জমা দিতে ব্যর্থ হন এবং চেকগুলো তিনি নিজস্ব ড্রয়ারে ফেলে রাখায় চেকগুলো তামাদি (অচল) হয়ে যায়। এতে করে শিক্ষকরা তাদের বকেয়া ও বিনোদন ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আদেশে উল্লেখ করা হয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কর্তৃক তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কর্মকাণ্ড তার দায়িত্ব কর্তব্যে চরম অবহেলা এবং অসদাচরণের সামিল। এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) মোতাবেক তাকে (দুলাল কৃষ্ণ মালাকার) সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
আদেশে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্ত থাকার সময়ে তিনি বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২২
এসআই