ঢাকা: বাদ পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও’র আপিল পুনর্বিবেচনা চলছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তথ্যগত কারণে বাদ পড়াগুলোর ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গণবিজ্ঞপ্তির পর এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে ৪ হাজার ৭২৯টি আবেদন পাওয়া যায়। যাচাই-বাছাই শেষে গত ৬ জুলাই ২ হাজার ৬১৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে সরকার। এমপিওভুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতার সরকারি একটি অংশ পেয়ে থাকেন।
আপিল বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এমপিও নীতিমালাতেই আছে- তারা যে তথ্য দেয় আমরা বোর্ড থেকে তথ্য নেই। সেই তথ্যগুলো নিয়ে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করি। সেই তালিকার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যে তথ্য দেওয়া হয় সেই তথ্যের মধ্যে কোথাও ভুল থাকতে পারে। অনেক সময় হয়তো প্রধান শিক্ষকরা তথ্য দেবার ক্ষেত্রে, টাইপ করার ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যায়। আমরা প্রাথমিক তালিকা করি, আপিল করার সুযোগ থাকে। দেখা গেল তার জমির নামজারির কাগজ নেই। সেই কারণে যদি যোগ্যতায় বাদ না পড়ে তাহলে সমস্যা নেই। আপিল করা হয় তথ্যগত প্রমাণ দেওয়ার জন্য, তা আমরা সেটা পুনর্বিবেচনা করি। সেভাবেই করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হয়নি, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নীতিমালার ১৬.৪ ধারা অনুযায়ী আপিল আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আপিল আবেদন গ্রহণের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল গত ২১ জুলাই পর্যন্ত। সারাদেশ থেকে সর্বমোট ১ হাজার ৭২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আপিল আবেদন পাওয়া যায়।
আপিল শুনানিতে ১ হাজার ৭২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৫৫৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং ১৭১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আপিল শুনানিতে অনুপস্থিত থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২২
এমআইএইচ/