ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

২টি উচ্চতর গ্রেড চান সহকারী প্রধান শিক্ষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২২

ঢাকা: বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের মাঝেও দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সহকারী প্রধান শিক্ষকরা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এসব বৈষম্য নিরসনে এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী দশ বছর ও ষোল বছর সন্তোষজনক চাকরি শেষে সহকারী প্রধান শিক্ষকগণকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদান করাসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ক্রমান্বয়ে দাবি আদায়ে কর্মসূচি গ্রহণ করবো। শুরুতে আলোচনা করবো। যদি আলোচনায় সমাধান না আসে তাহলে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে যাবো।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হল- শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত জনবল কাঠামো ও এমপিও নির্দেশিকা অনুযায়ী দশ বছর ও ষোল বছর সন্তোষজনক চাকরি শেষে সহকারী প্রধান শিক্ষকগণকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদান করা; সহকারী প্রধান শিক্ষকগণকে ম্যানেজিং কমিটিতে পদাধিকারবলে সহকারী সদস্য সচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা; সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তর/সংস্থা/অফিস কর্তৃক সময় সময় চাহিদার ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক রিপোর্ট তৈরি/দাখিলের সময় সহকারী প্রধান শিক্ষকগণকে সম্পৃক্ত করা এবং তাদের স্বাক্ষর নেওয়া জরুরি; অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে সহকারী প্রধান শিক্ষকদেরকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করা; সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কমপক্ষে তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে যাতে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ পদে আবেদন করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পেতে পারেন সেই সুযোগ প্রদান করা।

এছাড়া সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদটিকে উপাধ্যক্ষ পদে উন্নীত করা (যা বর্তমানে সমমানের মাদরাসায় বিদ্যমান); একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর ইন সার্ভিস প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা; প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকল পদে কর্মরতদের যুগোপযোগী চাকরিবিধি প্রণয়ন করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা; উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করা এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ডেপুটেশনে কাজ করার সুযোগ প্রদান করা; প্রতিষ্ঠান প্রধান পদে সময় বর্ধিতকরণ প্রদান কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান বন্ধ করা এবং অবিলম্বে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সহকারী প্রধান শিক্ষকের সকল শূন্য পদ এনটিআরসি'র মাধ্যমে পূরণ করা; এবং কর্মক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়মিত সরকারিভাবে তদারকির ব্যবস্থা করা।

আয়োজনে এসময় বাংলাদেশ সহকারী প্রধান শিক্ষক পরিষদের বিভিন্ন সদস্য ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।