ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গোসলকে কেন্দ্র করে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
গোসলকে কেন্দ্র করে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি

শাবিপ্রবি (সিলেট): ওয়াশরুম ব্যবহার (গোসল করা) নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, দুপুরে গোসলে ওয়াশরুম ব্যবহার নিয়ে  শাবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী শিমুল মিয়ার সঙ্গে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ গ্রুপের অনুসারী মুসলিম ভূইয়ার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

শিমুল মিয়া পলিটিকাল স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের (২০২০-২১ সেশন) শিক্ষার্থী এবং মুসলিম ভূইয়া বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের (২০১৬-১৭ সেশন) শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সৈয়দ মুজতবা আলী হলের ৪০৯ নং রুমে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, দুপুরে এ ব্লকের ওয়াশরুমে গোসল করছিলেন বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মুসলিম ভূইয়া। তখন ওয়াশরুমের ভেতরে কে আছিস বলে ডাক দেয় শিমুল মিয়া। পরে ওয়াশরুম থেকে মুসলিম ভূইয়া বাইরে এলে একে অপরের পরিচয় হলে জানাজানি হয়। মুসলিম ভূইয়া জানে শিমুল তার জুনিয়র। পরে শিমুলকে রুমে আসতে বলে মুসলিম ভূইয়া। শিমুল রুমে না গেলে তাদের মাঝে একটু কথা-কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডা হয়।

এরপর ঘটানাটি সজিবুর রহমানের গ্রুপ ও মামুন শাহর গ্রুপের মধ্যে জানাজানি হয়। পরে সন্ধ্যার তাদের মধ্যে মিমাংসা করার জন্য ৪০৯ নং রুমে বসলে তখন তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ও টেবিল ফ্যান, রুমের তালা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুরের পর দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। শিমুল মিয়া সৈয়দ মুজতবা আলী হলে থাকবে মুসলিম ভূইয়াকে বঙ্গবন্ধু হলে হলে বা মেসে চলে যেতে বলেছি।

সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ বাংলানিউজকে বলেন, ছোট একটা বিষয় একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা সমস্যাটির সমাধান করে দিয়েছি।

সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো আবু সাঈদ আরেফিন খান বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে যে সমস্যাটি হয়েছে তা মিমাংসা করো দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে বলেছি এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে কোন সমস্যা তৈরি না করতে।

এ বিষয়ে জানতে প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।