ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী গবেষণা-প্রকাশনা মেলা শুরু হয়েছে।
শনিবার (২২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার। উদ্বোধন শেষে অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চতুর্থ বিপ্লব মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেজন্য আমাদের সুদক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ই এ কাজ একা পারবে না। এজন্য সরকারের সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের এগিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে আমার শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, অবকাঠামোগত মাস্টারপ্ল্যান হওয়ার আগে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান হওয়া জরুরি। সেই সংক্রান্ত বাজেট অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা ব্যবস্থা করবো। গবেষণা উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট কোয়ালিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পড়াশোনা করে বাইরে ডলারে বেতন পাচ্ছেন তাদেরও সম্পৃক্ত করতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সামাজিক চাহিদা নিরূপণ, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণের ক্ষেত্রে এই মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নীতিমালা আরও সহজ করা দরকার।
মেলায় বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, প্রকাশনা সংস্থা ও গবেষণা কেন্দ্রের শতাধিক স্টল রয়েছে। এসব স্টলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা ও উদ্ভাবনসহ ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার ও ৮৬টি ফ্লাইয়ার স্থান পেয়েছে।
উদ্বোধনী দিনে কলা অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে। ২৩ অক্টোবর মেলার সমাপনী দিনে সকাল ১০টায় জীববিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ এবং চারুকলা অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে।
এছাড়া সকল ইনস্টিটিউটের পক্ষে ১টি এবং গবেষণা কেন্দ্র/ ব্যুরো'র পক্ষে ১টি উপস্থাপনা থাকবে। বিকেল ৪টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ আর্টিক্যাল লেখককে সনদ, ক্রেস্ট ও অর্থ দেওয়া হবে।
প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টারের পোস্টারগুলো থেকে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হবে। দুই দিনব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
এসকেবি/এমজেএফ