যশোর: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলেয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে রূপান্তর করা হচ্ছে। আগামী বছর নতুন সিলেবাসের বই পুরোপুরি পাওয়া না গেলেও ২০২৪ সালে নতুন কারিকুলামে পাঠদান করা হবে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোরের সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দীন হোসেন মহাবিদ্যালয়ে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে তাদের রুখে দিয়ে বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলার দিকে ধাবিত হবে।
যশোরের শিক্ষাব্যবস্থায় শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন পরিবারের অবদানের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে এই শহীদ পরিবারের সদস্যরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন শুধু স্বাধীনতাই এনে দেননি, লাখো মানুষের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করেছেন।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- দৈনিক আজকের পত্রিকার উপসম্পাদক ও শহীদ সিরাজুদ্দীনের ছেলে ডক্টর জাহিদ রেজা নূর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ডক্টর আহসান হাবীব, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম ও বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কলেজটির অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সরকারি এমএম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, মির্জাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে কলেজ কর্তৃপক্ষ তিনটি দাবি তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে, দ্রুত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারিকরণ, মহিলা হোস্টেল ও অডিটোরিয়াম স্থাপন। দাবিগুলো বিবেচনায় এনে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
ইউজি/আরএ