ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সদ্য অনুষ্ঠিত নিয়োগ বোর্ড বন্ধের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন শাহবুব আলম নামে এক প্রার্থী।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) ওই প্রার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট জমারত আলী।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রিটের আবেদন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ইবির উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান, বোর্ডের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামানকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন্যান্স বিভাগটির প্রভাষক পদে নিয়োগ বোর্ডে সভাপতি ও অন্য সদস্যদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে সুপারিশ করা নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বলে জানা গেছে। নিয়োগ বোর্ডে দ্বন্দ্বের জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করে বেরিয়ে যান বিভাগটির সভাপতি।
পাশাপাশি পুনঃরায় নিয়োগ বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন ওই প্রার্থী।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বিধির ২০ ধারা অনুযায়ী কোনো শিক্ষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডে চারজন সদস্যের উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
চারজন সদস্য হলেন- ভাইস-চ্যান্সেলর যিনি পদাধিকার বলে নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতি, একজন বহিঃবিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য।
কিন্তু ফিন্যান্স বিভাগের সভাপতি জনাব ড. বখতিয়ার হাসান ছাড়াই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে জানা যায় এবং নিয়োগ বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান।
পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে ওই প্রার্থী জানতে পারেন এই নামে রাবির হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগে কোনো শিক্ষক নেই।
আবেদন উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে ওই নিয়োগ বোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সম্পূর্ণ হয়নি, বিধায় নিয়োগ বোর্ডের আইনানুগ বৈধতা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
নিয়োগ প্রার্থী শাহাবুব আলম বলেন, নিয়োগ বোর্ডে যদি নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও থাকি তাহলে আমি শঙ্কিত যে নিয়োগ বোর্ড যেহেতু বেআইনিভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে, সেহেতু ভবিষ্যতে এই নিয়োগ বোর্ড যে কোনো সময় বাতিলও হতে পারে। ওপরে উল্লেখিত বক্তব্য বিবেচনা করে পুনঃরায় নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড গঠন পূর্বক ভাইভা বোর্ডের আয়োজন করার দাবি জানাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, উকিল নোটিশ ও পুনঃরায় নিয়োগের আবেদন আমাদের কাছে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আইন অনুযায়ী আগাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
এসআরএস