ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণে সভা

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
রাবিতে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণে সভা

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক এম. হুমায়ুন কবীর। এছাড়া মুখ্য আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মীর আব্দুল কাইয়ূমের কন্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া।

এসময় অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা বলেন, মুক্তির আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয় যাদের হারিয়েছে, তাদের মধ্যে অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ূম অন্যতম। একাত্তরের এই দিনে ঘাতকরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় তাকে হত্যা করে। তাকে হত্যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কালো অধ্যায় রচনা করে ঘাতকগোষ্ঠি।

তিনি বলেন, শুধু মীর আব্দুল কাইয়ূম নন, স্বাধীনতা অর্জনের পথে এমন আত্মোৎসর্গের প্রেরণা যুগিয়েছেন ড. শামসুজ্জোহা, শহীদ হবিবুর রহমান, সুখরঞ্জন সমাদ্দারসহ আরও অনেকে। তারা আমাদের প্রেরণা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আমরা এখন অনেক কিছু হতে পারব, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ হতে পারব না। তাই শহীদের মর্যাদা ও সম্মান সবার ঊর্ধ্বে। শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ুম তৎকালীন শাসকদের জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। তাই মাত্র ৩২ বছর বয়সে স্বাধীনতাবিরোধীরা তাকে হত্যা করে। আমরা তার মৃত্যুকে অকাল প্রয়াণ বলে থাকি।

তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক কাইয়ূম ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বলিষ্ঠ। তার মৃত্যু আমাদের শুধু ভারাক্রান্তই করে না, হৃদয়ে রক্তক্ষরণও করে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহবুব কানিজ কেয়া বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় ছিল। স্বাধীনতার এতো বছর পরও এখানে মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃত সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীলরা ক্ষমতায় থাকতেও হত্যাকারীদের হত্যাকারী বলতে পারিনি।

তিনি বলেন, সময় এসেছে এদের চিহ্নিত করে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার, যাতে তারা জানতে পারে কারা স্বাধীনতাবিরোধী ও কারা ছিলেন স্বাধীনতার পক্ষে। তা নাহলে আবার এদেশে ৭৫ নেমে আসবে এবং লুণ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা।

এসময় শহীদ বুদ্ধিজীবী মীর আব্দুল কাইয়ূমের জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ‘মরণজয়ী শহীদ মীর কাইয়ূম’ প্রদর্শিত হয়। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২২
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।