ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, (ইবি): পুরনো প্রেস রিলিজ সম্পাদনা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সহ-সভাপতি পদায়ন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। ইবি ছাত্রলীগের নতুন সহ-সভাপতি হয়েছেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের রেহেনা আক্তার ঝুমা।
জানা গেছে, রোববার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাত ১টা ৪৪মিনিটে ঝুমা নিজেই তার নাম সংযুক্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা ও বিতর্কের শুরু হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩১ জুলাই ২৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ কমিটি দেওয়া হয়। কমিটি ঘোষণার চার মাস সেই একই প্রেস রিলিজ সম্পাদনা করে নতুন একজনকে সহ-সভাপতি পদ সংযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার রাতে ঝুমা ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তির স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আছে। নিজের স্ট্যাটাসে ঝুমা লেখেন- আমাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত করায় সংগ্রামী সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ভাই ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাদার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক হলেও সহ-সভাপতি নিয়োগের বিষয়টি বৈধ দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় সমাজসেবা সম্পাদক ও ইবি শাখার তত্বাবধায়ক শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ। তিনি বলেন, বিজ্ঞপ্তিটি অবৈধ নয়। যখন আমরা সিভি সংগ্রহ করি তখন ওই মেয়েটাই (ঝুমা) সিভি দিয়েছিল। কিন্তু কমিটি থেকে বাদ পড়ে যায়। সেই মেয়েটাকে আগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিই সম্পাদনা করে পদায়ন করা হয়েছে।
ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। কেন্দ্র থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।
পুরনো প্যাডে নতুন সহ-সভাপতি পদায়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক পদধারী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মী। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমন করা যায় কিনা, এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। একইসঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
ইবি ছাত্রলীগের অপর সহ-সভাপতি তন্ময় শাহা টনি বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক ছাড়া কমিটিতে নাম সংযোজনের সুযোগ নেই। তাদের কনসার্ন ছাড়া এটি করে থাকলে স্পষ্ট অপরাধ। এটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।
একাধিক নেতা বলেন, এভাবে নতুন করে নাম সংযুক্তি পদবঞ্চিতরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। রাতের আঁধারে হাতে-পায়ে ধরে কেউ পদ পেয়ে যাবে আবার কেউ পদবঞ্চিত হয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবে বিষয়টি কাম্য নয়।
পদায়নের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দফতর সম্পাদক ইন্দ্রনীল দেব শর্মার সাথে মুঠোফোনে একাধিক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
এমজে