তিনি বলেন, সরস্বতী পূজার দিন নির্বাচন দিয়ে সরকার একটা অন্যায় কাজ করেছে। ঈদের দিনে যদি নির্বাচন হয়, পূজার দিন যদি হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনাই করা যায় না। তাই সরকারের সাংবিধানিক কর্তব্য হলো একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। অতীতে আমরা লক্ষ্য করেছি, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি। গত জাতীয় নির্বাচনে এসব পাইকারি হারে লঙ্ঘন হয়েছে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, এ দেশের জনগণ নির্বাচনের পক্ষে। কারণ এর মাধ্যমে জনগণ তার মালিকানা নিশ্চিত করতে পারে। তবে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া মালিকানা নিশ্চিত হবে না। ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী মন্ত্রী-এমপিদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা এবং ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচনী গণসংযোগে বাধা এবং হামলা প্রমাণ করে নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এলাকায় দু’টি করে মোট চারটি পথসভা করবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির খুব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ শেয়ারবাজারকে নানা কারসাজির মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে সরকারের সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ী হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে। সর্বস্ব হারিয়ে এখন পর্যন্ত দুজন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডি কার্যকরী সভাপতি সা কা ম আনিছুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন, নাগরিক ঐক্যের শহীদ উল্লাহ কায়সার, ডা. জাহেদ উর রহমান ও ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/এজে