সিপিবি’র সম্পাদক ও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স স্বাক্ষরিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ফ্যাক্সযোগে পাঠানো এক চিঠিতে দলটির এ অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- 'নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হওয়ার পর গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) পক্ষ থেকে জামানতের টাকা কমানোসহ বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল।
'ইভিএম এ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সবাই একমত হতে পারেনি। এমনকি ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটদানে অতীতে আমাদের অভিজ্ঞতাও সুখকর নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ইভিএম বিতর্কের অবসান হয়নি। তাই, সার্বিক বিবেচনায় সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করছি। এসব বিষয়ে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সংলাপ করারও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। '
'নির্বাচনে সব প্রার্থীদের সমসুযোগ দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এ লক্ষে কিছু আচরণবিধিও প্রণীত রয়েছে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে দেখলাম নির্বাচনের প্রার্থিতার আবেদন জমাদান থেকে শুরু করে প্রতিদিন অনেক প্রার্থী, বিশেষত: আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। প্রতিদিনের সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ চিত্র ফুটে উঠছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার ভূমিকা আমাদেরকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে। '
এছাড়াও চিঠিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মানতে বাধ্য করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
ইইউডি/এসএইচ