বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণে বিএনপির মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন মানেই মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে তামাশা, প্রশাসনিকভাবে কেন্দ্র দখল করে সিল মারার উৎসব।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়ন জমাদান এবং প্রচার প্রচারণা শুরু থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অব্যাহতভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আমাদের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে হামলা, দলীয় নেতাকর্মীদের উপর মামলা করছে। আমরা বার বার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করার পরও কমিশন থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং তারা বরাবরের মতোই নির্বিকার। নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও ঠিক হয়নি। অথচ এ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তার কিছুই দেখছি না। এ কারণে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সব নির্বাচনের মতোই যেন তামাশা, প্রহসনে পরিণত না হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি গোপীবাগে আমাদের প্রচারণায় হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় উল্টো আমাদের ২০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে। তাদের বাড়িঘর ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটাই হলো নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। একচোখা নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের ন্যাক্কারজনক আচরণে এ নির্বাচনকে যদি গতানুগতিক প্রহসনের নির্বাচনে পরিণত করা হয়, এমন পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকেই বহন করতে হবে।
মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা এ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা আশা করবো, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক বলেন, এ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতা পেয়েছি। অনেককে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে দেখেছি। কিন্তু ওয়ারি থানার কিছু অসাধু কর্মকর্তা দলীয় ভূমিকা পালন করছে। তারই অংশ হিসেবে এ মামলাটি করা হয়েছে। ওয়ারি থানার অধীনে তিনটি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীশূন্য করতে বিভিন্ন মামলা হামলা করা হচ্ছে।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক আব্দুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/