রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ইসি সচিব।
ভোটগ্রহণের সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার পরিবর্তে ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কেনো, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ৮টায় ঘুম থেকে ওঠে না ভোটাররা।
কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া ঢাকার সিটি ভোটে কম ভোট পড়ার ব্যাপারে ইসি সচিব বলেন, ভোটাররা কাদের দোষে ভোটকেন্দ্রে যাননি সেটা তাদের জিজ্ঞেস করুন, তারই ভালো বলতে পারবেন।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তাকারী হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবস্থা করার অভিযোগ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, এই ধরনের কাজ করার সুযোগ নাই। নির্বাচন করা একক কারও দায়িত্ব নয়। এটার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন সেসব প্রার্থী, তাদের সমর্থক, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবার সমন্বিত দায়িত্ব। সবাই যদি যার যার দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটার সুযোগ নাই।
মো. আলমগীর বলেন, যদি সেখানে প্রত্যেক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকে, তাহলে এমন কিছু করার কোনো সুযোগ থাকবে না। কমিশনের পক্ষ যা করার তা হলো- পোলিং অফিসার দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য রাখা, প্রিজাইডিং অফিসার রাখা। কিন্তু যারা নির্বাচন করবেন, তারা যেনো তাদের পোলিং এজেন্ট দেন।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সব দলই অংশ নেবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে সচিব বলেন, আমরা সবসময়ই শতভাগ আশাবাদী। আশা করতে তো কোনো সমস্যা নাই। আমরা তো আমাদের দিক থেকে কোনো কিছু কম রাখি না। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোট করার জন্য যা যা দরকার কমিশন তা করবে। সব ভোটারকে বলবো নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে আপনার যে অধিকার আছে তা প্রয়োগ করবেন।
তফসিল অনুযায়ী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাধারণ নির্বাচন এবং বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। বাছাইয়ের দিন ১ মার্চ (রোববার) ও মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ মার্চ (সোম থেকে বুধবার)। আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মার্চ (বৃহস্পতি থেকে শনিবার), প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ মার্চ (রোববার), প্রতীক বরাদ্দ ৯ মার্চ (সোমবার) ও ভোটগ্রহণ ২৯ মার্চ (রোববার)।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০
ইইউডি/এইচজে /এমএ