আসন্ন ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই নতুন এ ফিচারটি যুক্ত করা হবে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগের অপারেশন প্ল্যানিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আগে কোন আঙ্গুল চেপে ইভিএম চালু করা হলো তা ইভিএমের মনিটরে প্রদর্শন করতো না।
ইভিএমে দু’টো ইউনিটের একটি কন্ট্রোল ইউনিট, অন্যটি ব্যালট ইউনিট। কন্ট্রোল ইউনিটে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটারকে তার ব্যালট ইউনিটটি চালু করতে হয়। কারও আঙুলের ছাপ ম্যাচ না করলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আইনে নির্ধারিত ক্ষমতা অনুযায়ী নিজের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে ব্যালট ইউনিট চালু করে দিতে পারেন।
এখন থেকে কে কোন আঙুল দিয়ে ব্যালট ইউনিট চালু করছেন, তা সংরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে ভোটার নিজেই মনিটরে দেখতে পারবেন কোন আঙুলের ছাপ দিয়ে ব্যালট ইউনিট চালু করলেন।
২০১০ সালে দেশে যন্ত্রের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের প্রচলন শুরু করে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন। সে সময় তারা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা করে প্রায় সাড়ে ১২শ ইভিএম তৈরি করে নেয়। ওই কমিশন এ যন্ত্রে ভোট নিয়ে সফলও হয়।
পরবর্তীতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশন রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ২০১৫ সালে ভোট নিতে গেলে একটি মেশিন বিকল হয়ে পড়ে। সে মেশিনটি পরে আর ঠিক করতে পারেনি কমিশন। এমনকি বিকল হওয়ার কারণও উদ্ধার করা যায়নি। ফলে ওই মেশিনগুলো নষ্ট করে নতুন করে আরও উন্নত প্রযুক্তি ইভিএম তৈরির করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
কেএম নূরুল হুদার বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ২ লাখ ২০ হাজার করে ইভিএম তৈরি করে নিচ্ছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি থেকে। এজন্য হাতে নেওয়া হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।
রংপুর সিটি করপোরেশনসহ বেশ কিছু স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ যন্ত্রে ভোটগ্রহণ করে ইসি। এরপর বড় আকারে নির্বাচনে এ যন্ত্রে ভোট নেওয়া হয় ঢাকার দুই সিটিতে।
ইভিএমের ভোটে আপাতত দৃষ্টিতে ব্যালট ছিনতাই কিংবা সিল সুযোগ না থাকলেও যন্ত্রটির প্রতি বিরোধী দলগুলোর আস্থা আনতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। যদি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বারবার বলছেন, এটি আগের ইভিএমের চেয়ে অনেক উন্নতমানের। এ মেশিন হ্যাক করা যায় না।
অন্যদিকে ইভিএমের নির্বাচনগুলোতে ভোটের হারও সহিংসতাও নেই বললেও চলে। তবে ভোট পড়ার হার খুব একটা বাড়ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
ইইউডি/ওএইচ/