ঢাকা: সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়ালকে দল থেকে অপসারণ করার বিষয়টি জানানোর পরও একই বিষয় জানতে তরীকত ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জবাবে ইসির এমন কার্যক্রমে হতবাক হওয়ার কথা জানিয়েছে দলটি।
ইসি সচিবের কাছে মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দেয়া এক চিঠিতে তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব আলহাজ ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী বলেন, ‘গত ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ তারিখে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) প্রেসিডিয়াম সভায় এমএ আউয়ালকে দল থেকে অপসারণ করা হয়। আর এই সিন্ধান্ত দুই দিন পর চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অভিহিত করা হয়। ’
‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ২ বছর ৩ মাস পরে গত ১৯ জুলাই চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন থেকে একই বিষয়ে কাগজপত্র চাওয়া হয়। বিষয়টি আমাদের রীতিমত হতবাক করেছে। আমি নিজে স্বাক্ষরকারী (ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী) ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ থেকে মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি এবং অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক মহাসচিব অন্য একটি রাজনৈতিক দলগঠন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। ’
ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী চিঠিতে আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে আসছি। সরকারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মহাসচিব হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করছি। এমতাবস্থায় ২ বছর ৩ মাস পর নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সত্যিই দুঃখজনক। তাই বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব সহকারে জরুরি ভিত্তিতে সমাধান করার জন্য অনুরোধ করছি। ’
২০১৮ সালে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘণ করার অভিযোগে তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়ালকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে তরীকত ফেডারেশনের বাইরে গিয়ে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স নামে রাজনৈতিক জোট গঠন করার অভিযোগ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
ইইউডি/এমজেএফ