ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

৪০টি শান্তির পায়রা উড়িয়ে রবি-চ্যানেল আই বিজয়মেলা উদ্বোধন

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১০
৪০টি শান্তির পায়রা উড়িয়ে রবি-চ্যানেল আই বিজয়মেলা উদ্বোধন

প্রতিবারের মতো এবারের বিজয় দিবসেও চ্যানেল আই আয়োজন করেছে বিজয়মেলা। ১৬ ডিসেম্বর দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে চ্যানেল আইয়ে তেজগাঁও নিজস্ব কার্যালয় চত্বরে।

সকালে বিজয়ের ৪০ বছরে পদার্পণকে স্বাগত জানিয়ে ৪০টি পায়রা উড়িয়ে বিজয়মেলার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেন সাংবাদিক এবিএম মূসা, গোলাম সারওয়ার, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ইমদাদুল হক মিলন, শ্যামল দত্ত, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, সৈয়দ হাসান ইমাম, লায়লা হাসান, সাইফুল আলম, ড. অপরূপ রতন চৌধুরী, শিল্পী আব্দুল জব্বার, ফেরদৌস আরা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, খায়রুল আনাম শাকিল, চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক মোঃ সামাদ, নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, ড. এনামুল হক, ভাষ্যকার আবদুল হামিদ, রবি’র প্রধার বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বসু, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর এবং পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এ সময় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের উন্নয়নের জন্য ফরিদুর রেজা সাগর পাঁচ ল টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

Channel_i_BijoyMelaএবারের রবি-চ্যানেল আই বিজয়মেলায় আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয় স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী এবং অভিনেতা চাঁদ প্রবাসীকে। সম্মাননা স্মারক প্রদানের পাশাপাশি তাকে প্রদান করা হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা। এছাড়াও চাঁদ প্রবাসী আজীবন প্রতি মাসে পাবেন দশ হাজার টাকা করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, রবির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বসু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম এবং ঢাকা উত্তরের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

বিজয়মেলার মঞ্চে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের গণসঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পর্ব। গানের ফাঁকে ফাঁকে মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের স্মৃতিচারণে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, ফেরদৌস আরা, ইন্দোমোহন রাজবংশী, রিজিয়া পারভীন, খায়রুল আনাম শাকিল, ফকির টুনটুন সাহ, সফিউল আলম রাজা, ড. অরূপ রতন চৌধুরী, আগুন, বিপ্লব এবং চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ও মেরিডিয়ান চ্যানেল আই ুদে গানরাজের শিল্পীরা। এছাড়া মেলায় ছায়ানট, ঋষিজ, ক্রান্তি, সুরের ধারা, সুর সপ্তক, নৃত্যাঞ্চল, ধ্র“বতারা, বহ্নিশিখা, খেলাঘর প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেছেন । কবিতা আবৃত্তি করেছেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পীরা।

বিজয়মেলা উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ের তেজগাঁও চত্বর বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়। মেলায় ৭ বীরশ্রেষ্ঠের নামে তাদের ছবিসহ ৭টি স্মারকস্তম্ভ স্থাপন করা হয়। প্যাভিলিয়নে মুক্তিযুদ্ধের ১১ সেক্টরের স্মরণে ছিল বৈঠকখানা। মেলায় ছিল ২০টি স্টল। এসব স্টলের ছিল মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থমালা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হাসপাতাল, পানসুপারী, মেলা কমিটি, মিডিয়া কর্ণার এবং চারুকারু-কুটিরশিল্পের রকমারি স্টল।

রবি-চ্যানেল আই বিজয়মেলায় চিত্রাংকন করেছেন দেশের খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীবৃন্দ। তাৎক্ষণিকভাবে আঁকা এইসব চিত্রমালা বিক্রির অর্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের উন্নয়নের জন্য প্রদান করা হবে। এছাড়াও মেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রাংকন।

এই বিজয়মেলায় দর্শক-শুভানুধ্যায়ীদের সমাগম চোখে পড়ার মতো। দিনব্যাপী  বিজয় মেলাটি চ্যানেল আই সরাসরি সম্প্রচার করেছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭২০, ডিসেম্বর ১৬,২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।