বলিউডের ছবি ‘ওয়ান্টেড’ মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে। একটি-দু’টি নয়, ৮০টি প্রেক্ষাগৃহে! মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আরও কয়েকটি।
অনেকে বলছেন- এটি দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের প্রতি বিদেশি আগ্রাসন। অসম প্রতিযোগিতার মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে এ মাধ্যমটিকে। এমন লোকের সংখ্যাও কম নয় যারা মনে করছেন, নির্মাণচর্চা হওয়া উচিত বৈশ্বিক। মূলতঃ আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতা তৈরি হলেই দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নতি ঘটবে।
কারা আসলে ভুল? কারা ঠিক? দেশীয় প্রেক্ষাগৃহে ভারতীয় চলচ্চিত্র আসলেই ক্ষতিকর কি-না?- এসব নিয়ে তৈরি হয়েছে স্পষ্ট ধোঁয়াশা। এ ইস্যুতে এক হয়েছে দেশের পাঁচটি চলচ্চিত্র সংগঠন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি, জাহাঙ্গীরনগর স্টুডেন্টস ফিল্ম সোসাইটি, রণেশ দাশগুপ্ত ফিল্ম সোসাইটি ও জগন্নাথ ফিল্ম সোসাইটি।
পাঁচটি সংগঠন মিলে আয়োজন করেছে একটি সেমিনার। আলোচ্য বিষয়- ‘ভারতীয় চলচ্চিত্র বাংলাদেশে অবাধ ও বাণিজ্যিক প্রদর্শন : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে এবং দেশীয় সংস্কৃতিতে প্রভাব’। ২৪ জানুয়ারি দুপুর ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এটি।
আলোচনা করবেন চলচ্চিত্রকার সিবি জামান, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, চলচ্চিত্রকার ও নাট্যজন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, স্থপতি লায়লুন নাহার স্বেমি, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ, লেখক ড. সলিমুল্লাহ খান, চলচ্চিত্রকার দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মতিন রহমান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, শাহ আলম কিরণ, সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, সোহানুর রহমান সোহান, এফ আই মানিক, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, টোকন ঠাকুর, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, নোমান রবিন, চলচ্চিত্র গবেষক ড. ফাহমিদুল হক, চলচ্চিত্র সম্পাদক জুনায়েদ হালিম ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী বিপ্লব মোস্তাফিজ।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৫