ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

ছোটপর্দায় টানা সাতদিন শাবানা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৫
ছোটপর্দায় টানা সাতদিন শাবানা শাবানা

দেশীয় চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী শাবানা রূপালি পর্দা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন অনেক আগেই, তবে আজও তিনি একইরকম জনপ্রিয়। তাই বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা তার অভিনীত সাতটি ছবি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

‘শাবানা চলচ্চিত্র সপ্তাহ’ শিরোনামে ১৫ থেকে ১৮ মার্চ সকাল ১০টা ৪০ মিনিট এবং ১৯ থেকে ২১ মার্চ বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে প্রচার হবে এগুলো।  

 

১৫ মার্চ বেলাল আহমেদ পরিচালিত ‘ঘর আমার ঘর’ (শাবানা, আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, সুচরিতা), ১৬ মার্চ বাদল খন্দকার পরিচালিত ‘বিশ্বনেত্রী’ (শাবানা, জসিম, আমিন খান, শাহনাজ), ১৭ মার্চ বেলাল আহমেদের ‘বন্ধন’ (শাবানা, আলমগীর, চম্পা, ইলিয়াস কাঞ্চন), ১৮ মার্চ মোস্তফা আনোয়ারের ‘বাংলার মা’ (শাবানা, আলমগীর, অমিত হাসান, শাবনাজ), ১৯ মার্চ মোঃ শাহাবুদ্দিনের ‘সন্ধান’ (শাবানা, রাজ্জাক, রানী, রাজিব, সুজন), ২০ মার্চ কামাল আহমেদের ‘ব্যথার দান’ (শাবানা, আলমগীর, দিলদার) এবং ২১ মার্চ প্রচার হবে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘ভাবীর সংসার’ (শাবানা, জসিম, সুনেত্রা, নাসরিন)।

 

শাবানার জন্ম চট্রগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। ১৯৬২ সালে ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। ১৯৬৩ সালে উর্দু ছবি ‘তালাশ’-এ নাচের দৃশ্যে অংশ নেন। তারপর বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেন অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে। ‘আবার বনবাসে রূপবান’ এবং ‘ডাক বাবু’ ছবিতে তিনি সহ-নায়িকার কাজ পান। ১৯৬৭ সালে পরিচালক এহতেশামের ‘চকোরী’ ছবির মাধ্যমে চিত্রনায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু হয় তার। শুরুর দিকে  উর্দু ছবিতেই তাকে দেখা গেছে বেশি।  

 

১৯৬৭ থেকে পরবর্তী ৩০ বছর অনেক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেন শাবানা। ১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ চলচ্চিত্রাঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। এর তিন বছর পর সপরিবারে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে।  

 

শাবানা মোট ১০ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৭ সালে প্রথমবার পান ‘জননী’ ছবির জন্য। এরপর ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৭, ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আসে তার ঘরে। এ ছাড়া ১৯৯১ সালে প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, ১৯৮২ ও ১৯৮৭ সালে বাচসাস পুরস্কার, ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে আর্ট ফোরাম পুরস্কার, ১৯৮৮ সালে নাট্যসভা পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে কামরুল হাসান পুরস্কার, ১৯৮২ সালে নাট্য নিকেতন পুরস্কার, ১৯৮৫ সালে ললিতকলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সায়েন্স ক্লাব পুরস্কার, ১৯৮৯ সালে কথক একাডেমী পুরস্কার এবং জাতীয় যুব সংগঠন পুরস্কার পান তিনি।

 

দেশের বিভিন্ন উৎসবে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, রোমানিয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ বিভিন্ন উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন শাবানা।

 

বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।