প্রবীণ অভিনেতা সিরাজুল ইসলাম আর নেই। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নিকেতনে নিজের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন সিরাজুল ইসলাম। আজই বনানীতে তাকে দাফন করা হবে।
সিরাজুল ইসলামের জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ মে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায়। কৈশোরে মঞ্চ মাধ্যমে কাজ করেছেন। বেতারে কাজ শুরু করেন ক্যাজুয়াল আর্টিস্ট হিসেবে। ১৯৫৬ সালে তদান্তীন্তন পাবলিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টে যোগদান করেন।
মহীউদ্দিন পরিচালিত ‘রাজা এলো শহরে’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে সিরাজুল ইসলামের অভিষেক ঘটে। এ ছবিতে তিনি একজন প্রফেসরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
প্রায় তিনশ’রও অধিক ছবিতে সিরাজুল ইসলাম অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ‘নাচঘর’, ‘অনেক দিনের চেনা’, ‘শীত বিকেল’ ,‘বন্ধন’, ‘ভাইয়া’ , ‘রূপবান’, ‘উজালা’, ‘১৩ নং ফেকু ওস্তাগার লেন’ , ‘নয়নতারা’, ‘আলীবাবা’, ‘চাওয়া পাওয়া’ , ‘গাজী কালু চম্পাবতী’, ‘নিশি হলো ভোর’, ‘সপ্তডিঙ্গা’, ‘মোমের আলো’, ‘ময়নামতি’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘দর্পচূর্ণ’, ‘ জাহা বাজে শাহনাই’, ‘বিনিময়’, ‘ডুমুরের ফুল’ ইত্যাদি।
১৯৮৪ সালে ‘চন্দ্রনাথ’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান সিরাজুল ইসলাম। সিরাজুল ইসলাম পরিচালিত প্রথম ছবির নাম ‘জননী’। এ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শাবানা, বুলবুল আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, গোলাম মুস্তাফা, রানী সরকার, সুমিতা দেবী, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
এরপর নির্মাণ করেন ‘সোনার হরিণ’ ছবিটি। এ ছবিতেই প্রথম ও শেষবারের মত একসাথে অভিনয় করেন শাবানা, কবরী, ববিতা ও সুচরিতা । ছিলেন রাজ্জাক (দ্বৈত চরিত্রে), বুলবুল আহমেদ, গোলাম মুস্তাফা, আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারা ও সুমিতা দেবীর মত অভিনেতা অভিনেত্রী।
ত্রিশটিরও বেশি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। সিরাজুল ইসলাম সর্বশেষ ‘আড়ং’ ছবিতে কাজ করেছেন। সিরাজুল ইসলাম স্ত্রী সৈয়দা মারুফা ইসলাম, এক ছেলে মোবাশ্বেরুল ইসলাম, দুই মেয়ে ফাহমিদা ইসলাম ও নাহিদা ইসলামসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫