ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

সত্যজিৎ ও ঋত্বিকের যে ছবিগুলোর বয়স ৫০ বছর

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৫
সত্যজিৎ ও ঋত্বিকের যে ছবিগুলোর বয়স ৫০ বছর (বাঁ থেকে) সত্যজিৎ রায় ও ঋত্বিক ঘটক

১৯৬৫ সাল ছিলো বাংলা ছবির জন্য সবচেয়ে অর্থবহ। ওই বছর বিখ্যাত বলিষ্ঠ নির্মাতা সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন তৈরি করেন কালজয়ী কয়েকটি ছবি।

সেগুলোর সুবর্ণজয়ন্তী হচ্ছে এ বছর।

সত্যজিতের দুই কালজয়ী ছবি ‘মহাপুরুষ’ এবং ‘কাপুরুষ’ মুক্তি পায় ১৯৬৫ সালেই। একই বছর প্রেক্ষাগৃহে এসেছিলো ঋত্বিক ঘটকের মাস্টারপিস ‘সুবর্ণরেখা’ এবং মৃণাল সেনের ‘আকাশ কুসুম’। এ ছাড়া এর মধ্যে সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রাজকন্যা’ ২ এপ্রিল পদার্পণ করেছে ৫০ বছরে।


আকাশ কুসুম
ভারতের সমান্তরাল ছবির মশাল হাতে এগিয়েছেন এমন নির্মাতাদের মধ্যে মৃণাল সেন অন্যতম। তার ‘আকাশ কুসুম’ ছবির গল্প এক মধ্যবিত্ত ব্যক্তিকে ঘিরে। যে ব্যবসায় হাত দেন তাতেই লোকসানের মুখ দেখতে হয় তাকে। এ চরিত্রে অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়া ছিলেন অপর্ণা সেন। আর ছবিটির মাধ্যমে অভিষেক হয় শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের। ছবিটি সেরা বাংলা ছবি হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতে।


কাপুরুষ
প্রেমেন্দ্র মিত্রর গল্প ‘জনৈক কাপুরুষের কাহিনী’ অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেন সত্যজিৎ রায়। এর গল্পে দেখা যায়, কলকাতার চিত্রনাট্যকার অমিতাভ রায়ের গাড়ি হঠাৎ বিকল হয়ে পড়লে বিমল গুপ্ত তার বাড়িতে রাতে থাকতে দেন। বিমলের স্ত্রী করুনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় অমিতাভের। একসময় তাদের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক ছিলো। ছবিটিতে অভিনয় করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়।

মহাপুরুষ
সত্যজিৎ রায়ের আরেকটি মাস্টারপিস। পরশুরামের ছোটগল্প ‘বিরিঞ্চিবাবা’ অবলম্বনে সাজানো হয়েছে এর চিত্রনাট্য। এর গল্প ভন্ড পীর বিরিঞ্চি বাবাকে ঘিরে। নিজের লাখ লাখ অনুসারীকে অদ্ভুত সব গল্প বলে বোকা বানিয়ে যান তিনি। এ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেন চারুপ্রকাশ ঘোষ। তার সহকারীর চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন রবি ঘোষ।


সুবর্ণরেখা
ঋত্বিক ঘটকের এ ছবিতে দেখানো হয়েছে দেশভাগের প্রভাব। এতে অভিনয় করেন অভি ভট্টাচার্য, মাধবী মুখোপাধ্যায়, সতীন্দ্র ভট্টাচার্য ও বিজন ভট্টাচার্য। এ ছাড়া ঋত্বিক ঘটক নিজেও অভিনয় করেছিলেন। এ ছবির সংগীত পরিচালনা করেন ওস্তাদ বাহাদুর খান। তিনি এরপরে ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ (১৯৭৩) এবং ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ (১৯৭৪) ছবির সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।


রাজকন্যা
অনেকেরই অজানা, এর গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ঋত্বিক ঘটক। রোমান্টিক ছবিটিতে অভিনয় করেন মহানায়ক উত্তম কুমার। এ ছাড়াও ছিলেন চন্দ্রাবতী দেবী, গীতালি রায়, অজিত চট্টোপাধ্যায়, সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বকালের সেরা কমেডিয়ানদের মধ্যে অন্যতম ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবিটির ‘এই সেই পূর্ণিমা রাত’ গানটি আজও শ্রোতার মুখে শোনা যায়।


বাংলাদেশ সময় : ১৭০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।