ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

যে ১৪টি গান বলে দেয় রোগের লক্ষণ!

বৃষ্টি শেখ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫
যে ১৪টি গান বলে দেয় রোগের লক্ষণ!

অনেক জনপ্রিয় গান আছে যেগুলোর কথাকে চিকিৎসকদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে মেডিক্যালের অর্থহীন ভাষা মনে হবে। এসব গানের অর্থ মেডিক্যালের ভাষায় ব্যাখ্যা করলে না হেসে পারবেন না! আগামী ৩ মে বিশ্ব হাসি দিবস।

এ উপলক্ষে বলিউডনির্ভর ওয়েবসাইট বলিউড হাঙ্গামা ডটকম বিভিন্ন হিন্দি ছবির ১৪টি জনপ্রিয় গান নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এসব গানের অর্থ চিকিৎসকদের কাছে জ্বর থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথায় ঝিম ধরা, ত্বকে ফোসকা পড়া, স্মৃতিশক্তি হারানো, হৃদরোগ, অনিদ্রার মতো বিভিন্ন রোগ মনে হবে নিঃসন্দেহে! চলুন দেখা যাক কীভাবে।


* ‘দিল সে’ (১৯৯৮) ছবির গান ‘জিয়া জ্বলে জান জ্বলে, রাতভর ধুয়া চলে’। এর অর্থ- মন জ্বলছে আত্মা পুড়ছে, চোখ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কারও এমন মনে হলে চিকিৎসকরা বলে থাকেন জ্বর এসেছে!


* ‘ওমকারা’ (২০০৬) ছবির গান ‘বিড়ি জ্বালাইলে জিগার সে পিয়া, জিগার মা বড়ি আগ হ্যায়’। এর অর্থ হলো- এ হৃদয়ের উত্তাপ দিয়ে সিগারেটে আগুন ধরিয়ে দাও। এমন কোনো রোগী পেলে চিকিৎসকরা বলে দেবেন- নিশ্চিত অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন!


* ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (১৯৮৭) ছবির গান ‘বিজলী গিরানে ম্যায় হু আয়ি, কেহতে হ্যায় মুঝকো হাওয়া হাওয়াই’। এর অর্থ- বজ্রপাত ঘটাতে এসেছি, আমাকে তারা বলে হাওয়াইয়ের হাওয়া। চিকিৎসকদের ভাষায় এটাকে বলে গ্যাস!


* ‘আতি নাহি’ ছবির গান ‘আতি নাহি, আতি নাহি’। এর অর্থ আসে না, আসে না। রোগীরা একথা বললে চিকিৎসকরা ধরে নেবেন তিনি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন!


* ‘দেবদাস’ (২০০০) ছবির গান ‘ডোলা রে ডোলা রে, ডোলা মান ডোলা’। এর অর্থ- আমি দুলছি, আমি দুলছি, দুলছে মন দুলছে। এমন রোগীদের ব্যাপারে চিকিৎসকরা নির্ঘাত ধরে নেবেন, ঝিমুনি রোগে ধরেছে!


* ‘দ্য ট্রেন’ (১৯৭০) ছবির গান ‘গুলাবি আঁখে জো তেরি দেখি’। এর অর্থ- তোর গোলাপি যে চোখ দেখেছি। চিকিৎসকদের কাছে এটা হলো নেত্রবর্ত্মকলাপ্রদাহে ভোগা।
 

* ‘ইস রাত কি সুবাহ নাহি’ (১৯৯৬) ছবির গান ‘চুপ তুম রহো, চুপ হাম রাহে’। এর অর্থ- তুমি চুপ থাকো, আমিও চুপ থাকি। কোনো রোগী এমন কথা বললে চিকিৎসকরা বলে থাকেন মস্তিষ্কে জটিলতার কারণে মনের কথা বলা ও বোঝার সামর্থ্য হারিয়েছেন তিনি।  


* ‘দিল হ্যায় কি মানতা নাহি’ (১৯৯১) ছবির গান ‘মুঝে লাগা ইশক দা রোগ’। এর অর্থ- ত্বকে প্রেমের রোগ লেগেছে। রোগীরা এমন কথা জানালে চিকিৎসকরা ধরে নেবেন একাধিক ভাইরাল রোগ ত্বকে ফোসকা ফেলেছে অথবা স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করছে!


* ‘আনাজানা আনজানি’ (২০১০) ছবির গান ‘তুঝে ভুলা দিয়া’। এর অর্থ- তোকে ভুলে গেছি। কারও এমন হলে চিকিৎসকরা বলেন স্মৃতিশক্তি হারিয়ে গেছে!


* ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ (১৯৯৯) ছবির গান ‘তাড়াপ তাড়াপ কে ইস দিল সে আহ নিকালতি রাহি’। এর অর্থ- খোঁচা লেগে লেগে এই হৃদয় থেকে নিঃশ্বাস সরে যাচ্ছে। হৃদরোগে আক্রান্ত হলেই এমন লক্ষণ দেখা যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।


* ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ (১৯৯৮) ছবির গান ‘কেয়া কারু হায়ে কুছ কুছ হোতা হ্যায়’। এর অর্থ- কী করবো, কিছু কিছু হচ্ছে। এমন হলে চিকিৎসকরা ধরে নেবেন রোগীর বমি বমি ভাব আছে।


* ‘দিল’ (১৯৯০) ছবির গান ‘মুঝে নিন্দ না আয়ি’। এর অর্থ আমার ঘুম আসে না। এটাকে অনিদ্রা রোগ বলে থাকেন চিকিৎসকরা।


* ‘কোই মিল গ্যায়া...’ (২০০৩) ছবির গান ‘ইধার চালা ম্যায় উধার চালা, জানে কাহা ম্যায় কিধার চালা’। এর অর্থ- এদিকে যাচ্ছি, আবার ওদিকে যাচ্ছি। জানি না কোথায় যাচ্ছি। এমন রোগীরা একাধিক কাঠিন্যে ভুগছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা করে থাকেন।


* ‘বাজিগর’ (১৯৯৩) ছবির গান ‘বাতানা ভি নাহি আতা, ছুপানা ভি নাহি আতা’। এর অর্থ- বলা যাচ্ছে না, লুকানোও যাচ্ছে না। এমন অসুবিধার কথা চিকিৎসককে জানালে তিনি ধরে নেবেন, পাইলস বা অর্শ্বরোগে ভুগছেন রোগী।

বাংলাদেশ সময় : ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।