ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

চৈতালী দিনে সুরের মুর্ছনা ছড়ালেন রুনা লায়লা

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
চৈতালী দিনে সুরের মুর্ছনা ছড়ালেন রুনা লায়লা রুনা লায়লা/ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পাঁচ দশক ধরে সুরের সাতসাগর ঢেলে দিয়ে আসছেন রুনা লায়লা। তার মোহময় সুরের ভুবনে শ্রোতারা আচ্ছন্ন হয়ে আছে আজও।

কিংবদন্তি এই শিল্পীর সুরের মূর্ছনা, ঝঙ্কার আর জাদুতে বন্দি হয়ে আছে কোটি কোটি শ্রোতা। তার ৫০ বছর পূর্তি তাই স্মরণীয় হয়ে থাকলো ‘সেলিব্রেশন অব মিউজিক’ অনুষ্ঠানে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় এই আয়োজন। মঞ্চে এসে সংগীতজীবনের ৫০ বছর পূর্তির কেক কাটলেন রুনা। এরপর উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে নিজের জনপ্রিয় ১০টি গান গেয়ে শোনান তিনি।

এদিনও সংগীতপিপাসুদেরকে সুরের জাদুতে মোহাবিষ্ট করে রেখেছিলেন রুনা।   তিনি একেকটি গান পরিবেশন করেন আর উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে দর্শক-শ্রোতা। এসব গানে তার সঙ্গে গলা মেলাতে আসেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।

‘ইষ্টিশানের রেলগাড়িটা’ গাইলেন শাকিলা জাফর, ‘সাধের লাউ’ গানে আবিদা সুলতানা ও চিত্রনায়িকা অঞ্জন‍া, ‘পান খাইয়া ঠোঁট লাল করিলাম’ গানে মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, ‘বন্ধু তিন দিন’ গানে রফিকুল আলম গলা মেলান রুনার সঙ্গে। এছাড়া তিনি গেয়ে শোনান ‘যেজন প্রেমের ভাব জানে না’, ‘দে দে পেয়ার দে’, ‘দরিয়ারে দরিয়ারে‘, ‘ও মেরা বাবু চেইল ছাবিলা’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুম চলে যেও না’, ‘যখন থাকবো কোলাহল’, ‘যখন আমি থাকবো নাকো’, ‘আয়রে মেঘ আয়রে’, ‘দমা দম মাস্ত কালান্দার’ প্রভৃতি। গানগুলো এই চৈতালী দিনে সবাইকে যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলো।

১৯৬৫ সাল থেকে গান গাইছেন রুনা লায়লা। ওই বছর মুক্তি পাওয়া ‘জুগনু’ ছবিতে ‘গুড়িয়াসি মুনি্ন মেরি’ তার জীবনের প্রথম গাওয়া গান। ষাট, সত্তর, আশি, নব্বই দশকে গুণী এই শিল্পী উপহার দিয়েছেন অসংখ্য গান। এখনও তিনি গেয়ে চলেছেন। একদিনে ৩০টি গান গেয়ে গড়েছেন গিনেক রেকর্ড।

চলচ্চিত্রের গানে অনবদ্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন রুনা। ২০১৩ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও সেরা গায়িকার পুরস্কার এসেছে তার ঘরে। এ ছাড়া বাচসাস পুরস্কার, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি পুরস্কার, নিগার অ্যাওয়ার্ড (পাকিস্তান) সহ অনেক পুরস্কার  পেয়েছেন। এত দীর্ঘ সময় পেরিয়ে এসেও রুনা লায়লার তুলনা শুধুই তিনি। জনপ্রিয়তা, সফলতা, প্রাপ্তিকে একসঙ্গে নিয়ে এতোটা বছর পাড়ি দিয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্যরকম এক উচ্চতায়।


** গানে ৫০ বছর পূর্তির কেক কাটলেন রুনা লায়লা

** সেলিব্রেশন অব মিউজিক উপভোগ করতে দর্শকদের ঢল

বাংলাদেশ সময় : ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।