ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

কানে আনসার্টেন রিগার্ডের সভাপতি ইসাবেলা

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৫
কানে আনসার্টেন রিগার্ডের সভাপতি ইসাবেলা ইসাবেলা রোসেলিনি

কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আনসার্টেন রিগার্ডের জুরি প্যানেলের সভাপতি হতে সম্মতি জানিয়েছেন ইসাবেলা রোসেলিনি। ৬২ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান-আমেরিকান অভিনেত্রী-নির্মাতা আগামী ২৩ মে আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেবেন।



ফ্রান্সের সমুদ্রতীরবর্তী শহর কানে আগামী ১৩ মে শুরু হতে যাচ্ছে ৬৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ২৪ মে পর্যন্ত। আগামী ১৬ এপ্রিল মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের ছবির পাশাপাশি আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগে নির্বাচিত কুড়িটি ছবির নাম ঘোষণা করা হবে।

গত বছর আনসার্টেইন রিগার্ড বিভাগের জুরি সভাপতি ছিলেন আর্জেন্টাইন নির্মাতা পাবলো ট্রেপারো। এই শাখায় পুরস্কার জেতে কর্নেল মুনদ্রুচজো পরিচালিত ‘হোয়াইট গড’।

ইসাবেলা হলেন ইতালিয়ান নির্মাতা রবার্তো রোসেলিনি ও সুইডিশ অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যানের মেয়ে। কানের এবারের আসরের অফিসিয়াল পোস্টার তৈরি হয়েছে ইনগ্রিডের স্থিরচিত্র নিয়ে। কান ক্ল্যাসিকসের অংশ হিসেবে ইনগ্রিডকে নিয়ে স্টিগ বর্কম্যানের বানানো ‘হার ঔন ওয়ার্ডস’ প্রামাণ্যচিত্রের প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন ইসাবেলা। এ ছাড়া মায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে তার নিজের বানানো ‘ইনগ্রিড বার্গম্যান ট্রিবিউট’ প্রামাণ্যচিত্রটিও উদ্বোধন করবেন তিনি। এ ছাড়া দেখানো হবে ইনগ্রিডের আত্মজীবনী অবলম্বনে গুইডো তরলোনিয়া ও লুডোভিকা দামিয়ানি পরিচালিত ‘দ্য শো’। বিশ্বের বিভিন্ন মঞ্চে রবার্তো রোসেলিনির সঙ্গে তার কাজ করার দিকটি তুলে ধরা হচ্ছে এতে।

অভিনয়ে আসার আগে বাবার সঙ্গে ড্রেসার হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন ইসাবেলা। ১৯৭৯ সালে তাদের পারিবারিক বন্ধু তাভিয়ানি ভ্রাতৃদ্বয় ‘দ্য মিডো’ ছবিতে সুযোগ দেন ইসাবেলাকে। টেলর হ্যাকফোর্ড পরিচালিত ‘হোয়াইট নাইটস’ (১৯৮৫), নরম্যান মেইলারের ‘টাফ গাইস ডোন্ট ড্যান্স’ (১৯৮৭), ‘ব্লু ভেলভেট’ (১৯৮৬), নিকিতা মিখালকভ পরিচালিত ‘লাঁ ইয়ু নোয়া’ (১৯৮৭), ডেভিড লিঞ্চের ‘ওয়াইল্ড অ্যাট হার্ট’ (১৯৯০) ছবিগুলোর সুবাদে আন্তর্জাতিক খ্যাতি পান তিনি। এগুলোতে রহস্যময়ী ও নির্যাতিতা নারীর চরিত্রে দেখা যায় তাকে। ইতালি ও আমেরিকার ছোট ও বড় পর্দায় বিভিন্ন আঙ্গিকের কাজ করেছেন তিনি। তবে আবেল ফেরারার ‘দ্য ফিউনেরাল’ (১৯৯৬) ও জেমস গ্রে’র ‘টু লাভারস’ ছবির মাধ্যমে শৈল্পিক ধারায় ফিরে আসেন ইসাবেলা। এগুলোতে তার অভিনয় স্মরণীয় হয়ে আছে আজও। ২০১০ সালে তাকে দেখা গেছে সাভেরিও কস্তাঞ্জোর ‘দ্য সলিটিউড অব প্রাইম নাম্বারস’ ছবিতে।

২০০৮ সালে রবার্ট রেডফোর্ডের অনুরোধে মিনি সিরিজ নির্মাণে আসেন ইসাবেলা। তার নির্মিত ‘গ্রিন পর্নো’, ‘সেডিউস মি’ এবং ‘মামাস’ ছবি তিনটি প্রযোজনা করে সানড্যান্স টিভি। এগুলোতে উঠে আসে তার হাস্যরস প্রতিভা। এরপর জ্যঁ-ক্লদ ক্যারিয়ের সঙ্গে মিলে ইসাবেলা নির্মাণ করেন ‘অ্যানিমেলস ডিসট্র্যাক্টেড মি’।

** কানে ‘ম্যাড ম্যাক্স : ফিউরি রোড’
** কানের পোস্টার-কন্যা ইনগ্রিড বার্গম্যান
** কানের মাস্টার অব সিরিমনিস

বাংলাদেশ সময : ১৫৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।