ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

ফিরে এলেন হিচকক, ত্রুফো ও ইনগ্রিড!

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
ফিরে এলেন হিচকক, ত্রুফো ও ইনগ্রিড!

কান (ফ্রান্স) থেকে: কান উৎসবের অফিসিয়াল পোস্টারকন্যা হওয়ার সুবাদে শুরু থেকেই চারপাশে ছড়িয়ে আছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী ইনগ্রিড বার্গম্যান। সপ্তম দিনে তার সঙ্গে যোগ হলেন আলফ্রেড হিচকক ও ফ্রাসোয়াঁ ত্রুফো।

সেলুলয়েডের এই তিন খ্যাতিমানকে একদিনে পাওয়াটা অন্যরকমই বটে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মে) উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে তাদের নিয়ে নির্মিত নতুন দুটি প্রামাণ্যচিত্র।

উৎসবের অফিসিয়াল পোস্টারকন্যা ইনগ্রিড বার্গম্যানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র 'ইনগ্রিড বার্গম্যান: ইন হার ওন ওয়ার্ডস' সন্ধ্যায় দেখানো হয়েছে সাল দু সোসানতিয়েমেতে। নির্মাণ করেছেন স্টিগ বোর্কম্যান। ২০১১ সালে ইনগ্রিডের মেয়ে অভিনেত্রী-নির্মাতা ইসাবেলা রোসেল্লিনির (এবাররে কানে আনসার্টেন রিগার্ড বিভাগের জুরি প্রধান) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন স্টিগ। তখনই ইসাবেলা তার মাকে নিয়ে ছবি তৈরির প্রসঙ্গ তোলেন।

ইনগ্রিডের প্রামাণ্যচিত্রে অদেখা ব্যক্তিগত সংগ্রহের ভিডিওচিত্র, নোট, চিঠি, ডায়েরি ও সন্তানদের সঙ্গে তার সাক্ষাৎকার রয়েছে। সব মিলিয়ে 'ইনগ্রিড বার্গম্যান: ইন হার ওন ওয়ার্ডস' হয়ে উঠেছে তার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিকৃতি। সুইডেনের সাধারণ মেয়ে থেকে কীভাবে তারুণ্যেই খ্যাতি পেয়ে পরবর্তী সময়ে আমেরিকা ও বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অভিনেত্রী হয়ে উঠেছিলেন তিনি, তারই নেপথ্যের গল্প বলা হয়েছে এতে।

সাতবার অস্কার মনোনীত ও তিনবার অস্কারজয়ী ইনগ্রিড ছিলেন হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেত্রী। 'ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা' (১৯৪২), 'গ্যাসলাইট' (১৯৪৪), 'অটাম সোনাটা' (১৯৭৮)- এমন অনেক কালজয়ী ছবিতে দেখা গেছে তাকে।

এদিকে বিকেলে সাল বুনুয়েলে প্রদর্শিত হয় 'হিচকক/ত্রুফো'। কিংবদন্তি দুই চলচ্চিত্রকার আলফ্রেড হিচকক ও ফ্রাসোয়াঁ ত্রুফো ১৯৬২ সালে হলিউডে এক সপ্তাহ একসঙ্গে সময় কাটান। চলচ্চিত্র নির্মাণের শৈল্পিক রূপান্তর নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তারা। এর মূল রেকর্ডিং নিয়ে ত্রুফো লিখেছিলেন তার বিখ্যাত বই 'হিচকক বাই ত্রুফো'। সেই সূত্র ধরেই 'হিচকক/ত্রুফো' প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন কেন্ট জোন্স। এতে যেসব তথ্য ব্যবহার হয়েছে তা নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের কাজে আসবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

সপ্তম দিনের প্রায় পুরোটা সময় জুড়ে কান ক্ল্যাসিকস বিভাগে শোনা গেছে ধ্রুপদী ছবির জয়গান। উল্লিখিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র ছাড়া কিনজি ফুকাসাকুর 'ব্যাটেল উইদাউট অনার অ্যান্ড হিউম্যানিটি' (১৯৭৩) দুপুরে, বিকেলে ফার্নান্ডো সোলানাসের 'দ্য সাউথ' (১৯৮৮) এবং রাতে ছিলো বারবেট শ্রোডারের 'মোর' (১৯৬৯)।   তিনটি ছবিরই প্রদর্শনী হয়েছে সাল বুনুয়েলে।

ফ্রান্স সময় : ১৬৩১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।