ঢাকা: মঙ্গলবার শেষ হয়েছে ১২তম পুরুষ, ১০ম মহিলা জাতীয় ক্লাব এবং দ্বিতীয় আন্তঃসংস্থা ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতা। শেষ দিনে সীমান্ত, সাথী ও ফিরোজা পারভীন গড়েন চারটি নতুন জাতীয় রেকর্ড।
আর জাতীয় ক্লাব পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোয়াজ্জেম ক্লাব মেহেরপুর, জাতীয় ক্লাব মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এরশাদ নগর শরীরচর্চা ক্লাব এবং আন্তঃসংস্থা পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ আনসার, মহিলা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শেষ দিনে আন্তঃসংস্থা ভারোত্তোলন প্রতিযোগিতায় মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্ন্যাচে ৭৩ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশ আনসারের মাবিয়া আক্তার সীমান্ত।
উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালে জাতীয় মহিলা প্রতিযোগিতায় স্ন্যাচে ৭২ কেজি তুলে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন রোকেয়া সুলতানা সাথী।
সীমান্ত স্ন্যাচে ৭৩ ও জার্কে ৯০ মোট ১৬৩ কেজি তুলে স্বর্ণজয় করেন। মেয়েদের ৬৯ কেজি ওজন শ্রেণীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্ন্যাচে ও ক্লিন এন্ড জার্কে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন রোকেয়া আক্তার সাথী। ৭০ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন তিনি।
এরপর দ্বিতীয় সুযোগে ৭৫ কেজি তুলে নিজের গড়া রেকর্ড ভাঙ্গেন। তৃতীয় সুযোগে ৭৫ কেজির রেকর্ড ভেঙ্গে ৭৭ কেজি তুলে গড়েন নতুন জাতীয় রেকর্ড। ২০১৪ সাথে জাতীয় মহিলা ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৯ কেজি তুলে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। এরপর ক্লিন এন্ড জার্কে ৯৪ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন।
৬৯ কেজি প্লাস ওজন শ্রেণীতে ক্লিন এন্ড জার্কে ৭৮ কেজি তুলে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন ফিরোজা। ২০১৪ সালে জাতীয় মহিলা ভারোত্তোলনে ৭৭ কেজি তুলে রেকর্ড গড়েছিলেন ফিরোজা।
নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়া তিন ভারোত্তোলককে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
খেলা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সভাপতি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী ও সাধারণ সম্পাদক উইং কমান্ডার (অব.) মহিউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ১৬ জুন ২০১৫
ইয়া/এমএমএস