ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

ভারতীয় ক্রিকেটারদেরকে ভদ্রতার প্রশিক্ষণ নিতে হবে : আসিফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
ভারতীয় ক্রিকেটারদেরকে ভদ্রতার প্রশিক্ষণ নিতে হবে : আসিফ আসিফ আকবর / ছবি: নূর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নিজে ক্রিকেটার ছিলেন। বাংলাদেশ দলের খেলা হলে স্টেডিয়াম অথবা টিভির পর্দা থেকে চোখ সরান না।

ভারতের বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের পর তাই সবার মতো আসিফ আকবরও উচ্ছ্বসিত। প্রথম ওয়ানডে জয়ের পরও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী। ফেসবুকে তিনি দুটি জয়ের পরই অনুভূতি জানিয়েছেন। নিজের মতামত জানানোর বেলায় আসিফ বরাবরই অদম্য। নিজের লেখায় ঝাঁঝালো মন্তব্য করে আরেকবার তার প্রমাণ দিলেন তিনি। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো তার সেসব লেখা।

২২ জুন
আস্থার প্রতিদান দিলো তারুণ্য। এই তারুণ্যই এগিয়ে নিয়ে যাবে বাংলাদেশকে। তেতাল্লিশ বছরের জঞ্জাল সরাতে প্রস্তুত আমাদের তরুণ প্রজন্ম। আমরা ঘোলা পানিতে বেড়ে উঠলেও তরুণ প্রজন্মের চোখে শুধুই স্বচ্ছ নীল জলরাশি। তাই তো গেয়ে যাই তারুণ্যের গান। বিদ্রোহী কবির সান্নিধ্য পেলে অনুরোধ করতাম কবিতাটি একটু ঘুরিয়ে উপস্থাপনের জন্য- ‘হে তারুণ্য-তুমি মোরে করেছো মহান, তুমি মোরে দানিয়াছো পতাকার সম্মান’ ।

মুস্তাফিজ বনাম ভারতের সিরিজে পরিষ্কার জয় পেয়েছে বাচ্চা বাঘ মুস্তাফিজ। ব্যাঘ্রকুলের সরদার কাপ্তান মাশরাফি তো বলেই দিয়েছে- ভাগ্য সাহসীদের পক্ষেই থাকে। মুশফিক, তামিম, সৌম্য, লিটন দাশ, নাসির, সাব্বির, রুবেল, তাসকিন, মুস্তাফিজ প্রমাণ করেছেন তারাই সেরা। আমরা অবাক বিস্ময়ে হাসি কাঁদি।

বাংলাদেশের মানুষ অতিথিপরায়ণ। উষ্ণ সরল আতিথেয়তা প্রদান আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। এই সরলতাকে দুর্বলতা ভাবলে অতিথি হবে সীমালঙ্ঘনকারী। ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। ভারতীয় ক্রিকেটারদের যোগব্যায়ামের পরিবর্তে ভদ্রতার প্রশিক্ষণ নেওয়া দরকার। যুগে যুগে দাম্ভিকতার রেকর্ড শুধুই পতনের। এখনও বাংলাদেশ ভারতে খেলার আমন্ত্রণ পায়নি। এতোদিন দাওয়াত চেয়েছি, এখন প্রতিশোধ নিতে হলেও দাওয়াত দিতে বাধ্য থাকবে। ছেলেরা প্রস্তুত।

অভিনন্দন টীম বাংলাদেশ। কোচিং স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। নির্বাচকদের জন্য অফুরন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ। দেশের সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের বিভিন্ন রকম অনুভুতি একই স্রোতে গিয়ে মিশেছে। সাব্বাশ বাংলাদেশ। দৃষ্টি প্রসারিত শুধুই অসীমের দিকে।

পাদটীকা : ইন্ডিয়ার জন্য- আগের দিন নাইরে নাতি, খাবলাইয়া খাবলাইয়া চিনি খাইতি। (কুমিল্লা সংস্করণ)

২১ জুন
অসাধারণ একটি জয়! ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক! অভিনন্দন টাইগার্স।

১৯ জুন
প্রতিশোধের পারদটা তাঁতানো ছিলো ১৯ মার্চের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই। ক্ষুদ্ধ জাতির বুকের হাঁপরে প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দিলো টিম বাংলাদেশ। দাপুটে বোলিংয়ে আত্মবিশ্বাসী টাইগারদের সামনে বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ হয়ে গেলো অসহায় আত্মসমর্পনকারী দল। অভিনন্দন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রত্যেক সদস্যকে।

ক্রিকেট জাতিকে কখনো হাসায়, কখনো কাঁদায়। ক্রীড়াসুলভ মানসিকতা নিয়ে আমাদের খেলা দেখা উচিত। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের জুতা, ঝাড়ু প্রদর্শন করতে বিমানবন্দর গিয়েছিলাম। ফেসবুকে বাঘকে বিড়াল বানিয়ে জাতীয় দলকে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের সঙ্গে অপমান করেছি। আবার সেই টিম বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ছি।

ভারত নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা একটি দল। আমাদের ছেলেরাও এখন বুক চিতিয়ে খেলছে। কাপ্তান মাশরাফি বলেছে- ভাগ্য সাহসীদের পক্ষেই থাকে। চার পেসার তত্ত্বে হয়েছেও তা-ই। ভারতীয় ক্রিকেটারদের আরেকটু ভদ্র হতে হবে। ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা। আর আম্পায়ারসহ তেরোজনের বিরুদ্ধে খেলে বাংলাদেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছে আরও আগেই।

মুস্তাফিজের সঙ্গে বেশ কিছুদিন আগে ফোনে কথা হয়েছে। সরল ছেলেটা এতো ভয়ঙ্কর হতে পারে! সাব্বাশ আমাদের বাচ্চা বাঘ। ওয়াসিম আকরাম কিংবা চামিন্ডা ভাসের মতো আমরা মুস্তাফিজকে চাই। সাবাশ বাংলাদেশ। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। আবারো অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ ।



বাংলাদেশ সময় : ১৬৫০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।