প্রামাণ্যচিত্র ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ নির্মিত হয়েছিলো ২০১১ সালে। এতো বছর পর এটির পরিচালক কে- সেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব।
শুভ্র বলছেন, ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ-এর তিনটি প্রামাণ্যচিত্রে ১৫৬ জন শ্রম দিয়েছিলেন। এর মধ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্রের সহকারী ছিলেন মইনুল হোসেন মুকুল। এছাড়া প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে তার আর কোনো ভূমিকা নেই। ’
কিন্তু এরইমধ্যে মুকুল নিজেকে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ- স্কুল অব লাইফ’ এর নির্মাতা হিসেবে দাবী করে বিশ্বের অন্যতম বড় পর্যটন বিষয়ক চলচ্চিত্র উৎসব ফিল্ম আর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজমে অংশ নিয়েছেন। সেখান থেকে প্রামাণ্যচিত্রটির জন্য পুরস্কার এবং সার্টিফিকেটও বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি।
মুকুলের এই দাবীকে মিথ্যা উল্লেখ করে নিজেদের পক্ষে তথ্য-উপাত্ত হাজির করে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন প্রামাণ্যচিত্রগুলোর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেড ডট মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড।
২৩ জুন সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহফুজ আনাম জেমস সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১১ সালে বাংলাদেশে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। তখন বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে তুলে ধরার জন্য আইসিসি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে। এই প্রামাণ্যচিত্রই হচ্ছে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’। সে সময় আইসিসি’র বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে মনোনীত ছিলো গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেড। আমরা প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণের জন্য ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি গ্রে অ্যাডভারটাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে চুড়ান্ত ওয়ার্ক অর্ডার পাই। তখন প্রামাণ্যচিত্র সম্পাদন করার জন্য রেড ডট প্রডাকশন হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী নুরুদ্দিন আহমেদ শুভ্রকে প্রামাণ্যচিত্রগুলো নির্মাণের পরিচালক হিসেবে মনোনীত করা হয়। ’
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১১ সালের পর থেকে মুকুল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমানে লন্ডনে আছেন। এমনকি তিনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজের নাম সুকৌশলে পরিচালক হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ নিয়ে মঈনুল হোসেন মুকুলের এই ‘মিথ্যাচার’-এর তীব্র জানিয়েছে রেড ডট মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড ও গাজী শুভ্র।
বাংলাদেশ সময় : ২০২৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
কেবিএন/