মজার মজার কথা বলে মানুষ হাসাতেন মো. রাশেদ রানা পাপ্পু। তবে জনপ্রিয় এই কৌতুক অভিনেতা আর মানুষ হাসাবেন না।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন পাপ্পু। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে অল্প সময়ে। প্রায় নয় বছর আগে বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর একমাত্র পুত্র আবির ও স্ত্রী নিপাকে নিয়েই ছিলো তার সংসার। পাপ্পুর অকাল মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
সোমবার বাদ জোহর রাজধানীর লালবাগের কাজী দেওয়ান তালগাছওয়ালা মসজিদে নামাজে জানাজার পর তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপ্পুর মামা জাভেদ। তিনি জানান, প্রায় তিন-চার মাস আগে হৃদরোগের কারণে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পাপ্পু। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিয়মিত অনুষ্ঠান করতে পারতেন না। তবে জীবিকা নির্বাহের জন্য চেষ্টা করতেন। চেকআপের জন্য দু’এক দিনের মধ্যেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার আগেই পরপারে চলে গেলেন তিনি।
পুরনো ঢাকার লালবাগে জন্মেছিলেন পাপ্পু। বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘শুভেচ্ছা’র সুবাদে দর্শকমহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। এরপর প্রায় প্রতিটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ও কমেডি শোতে ছিলো তার স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি। বেশকিছু অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেছিলেন তিনি।
ছোটপর্দার গন্ডি পেরিয়ে পাপ্পু অভিনয় করেছেন ১৪ টি চলচ্চিত্রে। প্রথম ছবি সিরাজ হায়দারের ‘সুখ’। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আখেরি হামলা’, ‘শত্রু সাবধান’, ‘মেয়েরা মাস্তান’, ‘ফায়ার’, ‘ভন্ড বাবা’, ‘কালো চশমা’ প্রভৃতি। সর্বশেষ তিনি অভিনয় করেন ‘ময়নামতির সংসার’-এ। তাকে দেখা গেছে বিজ্ঞাপনচিত্র আর নাটকেও। এর মধ্যে মোল্লা সল্টের বিজ্ঞাপনের কথা না বললেই নয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ