সবই আছে। রাত-বিরাতে অকারণ ফোন, অপেক্ষার রেস্তোরাঁ, ঝুম বৃষ্টিতে হুড তোলা রিকসা, গভীর রাতে মন কেমন কেমন, চোখের ভেতর ঝা চকচকে ভবিষ্যত-স্বপ্ন-মুগ্ধতা।
যেখানে গল্পের শেষ, সেখান থেকেই শুরু হয় ‘সেফটিপিন’। এ পিন আটকে রাখে কামিজের সঙ্গে ওড়না, জীবনের সঙ্গে প্রেম; জটিলতাও। কিন্তু একটা প্রশ্নের উত্তর তো খুবই দরকারি। হুট করে মেয়েটা কেন বলছে এ কথা? দেব জ্যোতি ভক্ত বললেন, ‘ধর্ম’।
তিনি নির্মাতা। এতোদিন নাটক বানাতেন। এবার হাত দিয়েছেন চলচ্চিত্রে। দৃশ্যধারণও শুরু করেছেন। ছবির নাম ‘সেফটিপিন’। ফিরে যাই দেব জ্যোতির পুরো কথায়, ‘দু’জন দু’ধর্মের। জটিলতা এখানেই। ’ একজন ধনঞ্জয়, অন্যজন ফারিয়া। এক চরিত্রে নিরব, আরজে নিরব নামেই পরিচিত। অন্য চরিত্রে সামিরা খান মাহি।
ধনঞ্জয় ধর্ম বদলায়। বিয়েও হয় তাদের। তারপর শুরু জটিলতা। এর বেশি বলে দেয়াটা ঠিক হবে না। তবে ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে, যেখানে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন অনেকে, বিতর্কের সৃষ্টি হয়; সেইখানেই অতিমাত্রায় সতর্ক দেব জ্যোতি। বলছেন, ‘ধর্মকে বাধা হিসেবে নয়। মুক্তির পথ হিসেবেই দেখাচ্ছি আমরা। ’
আপাতত শহর ঢাকাতেই ঘুরছে ‘সেফটিপিন’ ছবির ক্যামেরা। কক্সবাজার ও মুন্সিগঞ্জেও হবে এর দৃশ্যায়ন।
বাংলাদেশ সময় : ২০৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৫
কেবিএন