বাংলা ছবির মহানায়িকা মৃত্যুর আগে তিন দশক স্বেচ্ছায় অন্তরালে ছিলেন। জীবনাবসানের পরও পরিবারের কাছের লোকজন ছাড়া তার মুখ দেখানো হয়নি।
সুচিত্রার নাতনী রাইমা সেন বলেছেন, ‘আনন্দবাজার এ দুটি ছবি কোথা থেকে পেলো, অবাক হয়ে যাচ্ছি! কিছুদিন আগে ফেসবুকে দেখেছিলাম, মহারানী গায়ত্রী দেবীকে আমার দিম্মার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। অনেকে বোকার মতো গায়ত্রী দেবীকে সুচিত্রা সেন ভেবেছিলেন। এ কারণে প্রথমে মনে হয়েছিলো এ দুটি ছবিও বোধহয় সেরকম! কিন্তু ভাল করে দেখতেই বুঝলাম এটা দিম্মাই। আপনাদের সুচিত্রা সেন। ’
রাইমা জানান, ছোটবেলায় সুচিত্রাকে এমনই দেখেছেন তিনি। এ ছবিটি সেই সময়কার, যখন তিনি নিজেকে লোকচক্ষুর অাড়ালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই সুচিত্রাকে এতোদিন খুব কম মানুষই দেখেছেন। সেই সময় তিনি থাকতেন বালিগঞ্জে। প্রতি শুক্রবার বিকেলে স্কুল ছুটি হলেই রাইমা ও রিয়া সেন আর তাদের মা মুনমুন সেন হ্যারিংটন ম্যানসনস থেকে চলে আসতেন এখানে।
ছবিতে যে চেয়ারটা দেখা যাচ্ছে, সেটা ছিলো সুচিত্রার সবচেয়ে প্রিয়। ছোটবেলায় ওই চেয়ারে বহুবার চড়েছেন রাইমা ও রিয়া। চেয়ারের মাথার পেছনে উঠলে তিনি নাতনিদের সাবধানে নামিয়ে দিতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৫
জেএইচ