শিরোনামে একটুখানি ভুল আছে। এটাকে ভুলও বলা চলে না ওইভাবে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, ‘এ আবার কোন কাদম্বিনী! রবি ঠাকুরের নয় তো?’ ঠিকই ধরেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই কাদম্বিনী। তার ‘জীবিত ও মৃত’ গল্পের কাদম্বিনী। রানীহাটের জমিদার শারদা শংকর বাবুদের বাড়ির বিধবা বধূ। পিতৃকুলে কেউ নেই। একে একে মারা গেছে সবাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেভাবে বর্ণনা দিয়েছেন, ‘পতিকূলেও ঠিক আপনার বলিতে কেহ নাই, পতিও নাই পুত্রও নাই। একটি ভাশুরপো, শারদাশংকরের ছোট ছেলেটি, সে-ই তাহার চক্ষের মণি। ’
একদিন শ্রাবণের রাতে কাদম্বিনীর হঠাৎ মৃত্যু হয়। আসলেই কি মৃত্যু হয় তার? সে আবার ফিরে আসে, কেউ তাকে জীবিত হিসেবে মেনে নিতে রাজি হয় না যদিও। সেই কাদম্বিনী চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রসূন।
গল্পটি নিয়ে নাটক তৈরি হচ্ছে। নাটকের নাম রাখা হয়েছে গল্পের নামেই। নির্মাণ করছেন তুহিন হোসেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের একটি রাজবাড়িতে দৃশ্যধারণ চলছে এখন। এতে আরও অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার, এ কে আজাদ সেতু, শর্মিমালা প্রমুখ।
আগামী ৭ আগস্ট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। ওইদিন একটি টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে ‘জীবিত ও মৃত’ নাটকটি।
বাংলাদেশ সময় : ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ