ঢাকা, বুধবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

আবদুল আলীম : হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
আবদুল আলীম : হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ আবদুল আলীম

‘হলুদিয়া পাখি’, ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’, ‘প্রেমের মরা জলে ডোবে না’, ‘উজান গাঙ্গের নাইয়া’, ‘আমারে সাজাইয়া দিও’, ‘মনে বড় আশা ছিলো’, ‘বাবু সেলাম বারে বার’, ‘সব সখিরে পার করিতে’ প্রভৃতি কালজয়ী গানের শিল্পী আবদুল আলীম। আগামীকাল ২৭ জুলাই আবহমান গ্রামবাংলার লোক ঐতিহ্য ও মরমী গানের এই শিল্পীর জন্মবার্ষিকী।



বাবার জন্মদিনে এসএ টিভির ‘সকালের ডায়েরি’ অনুষ্ঠানে থাকবেন তার মেয়ে নূরজাহান আলীম। সকাল সাড়ে ৭টায় দেখানো হবে এটি।

আবদুল আলীমের জন্ম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই, ভারতের মুর্শিদাবাদের তালিবপুর গ্রামে। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তার দুটি গান প্রকাশ করে গ্রামোফোন কোম্পানি। দেশভাগের সময় ঢাকায় এসে পূর্ব পাকিস্তান রেডিওতে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যোগ দেন তিনি।

সঙ্গীতশিক্ষায় মুমতাজ আলী খান এবং মোহাম্মদ হোসাইন খসরুর মতো উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতবিদদের সংস্পর্শ পান আবদুল আলীম। স্বতন্ত্র গায়কী আর অসাধারণ কণ্ঠের জন্য পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, কানাই লাল শীল, আবদুল লতিফ, খান সমশের আলীসহ অসংখ্য দেশবরেণ্য ব্যক্তির প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন তিনি। সংগীত জীবনে তার দুই শতাধিক রেকর্ড প্রকাশিত হয়। দেশীয় চলচ্চিত্রে শুরুর দিকে শতাধিক গান গেয়েছেন তিনি।

১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন আবদুল আলীম। খ্যাতিমান এই শিল্পী রেখে গেছেন অসংখ্য গান। এগুলো আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে পৌঁছে দেয় বাংলা মাটির ঘ্রাণ।



বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।