বক্স অফিস কাঁপানোর পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়িয়েছে সালমান খানের 'বজরঙ্গি ভাইজান'। ভারত ও বহির্বিশ্বে অনেক রেকর্ড গড়েছে ছবিটি।
অনেকের মতে, ছবিটিতে যে সময়ের কথা উল্লেখ রয়েছে তা সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যেমন 'সেলফি' গানটি জানান দেয়, গল্পটা এ সময়ের। এর চেয়েও বড় ভুল হলো, পাকিস্তানে ইউটিউবের প্রচারণা দেখানো।
গল্পে মুন্নিকে (হারশালি মালহোত্রা) তার দেশ পাকিস্তানে ফিরিয়ে দিয়ে আসার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একটি দৃশ্যে টিভি সাংবাদিক চাঁদ নবাব (নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী) ইউটিউব ব্যবহার করেন। অথচ পাকিস্তানে ইউটিউব নিষিদ্ধ। ইসলাম বহির্ভূত আপত্তিকর ভিডিও থাকায় দেশটির টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ২০০৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির শিশু চরিত্রকে ফিরিয়ে দিয়ে আসার ক্ষেত্রে ইউটিউবের বড় ভূমিকা দেখানো হয়েছে পাকিস্তানে। এতো বড় ভুল কীভাবে পরিচালক কবির খান এবং কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার বিজয়েন্দ্র প্রসাদ করলেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অবশ্য ভুল থাকলেও তাতে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর ব্যবসায় তা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না। এরই মধ্যে শুধু ভারতেই এটি আয় করেছে ২৫৯ কোটি ১২ লাখ রুপি। আর বহির্বিশ্বের আয় মিলিয়ে ছবিটি ঘরে তুলেছে সাড়ে চারশ কোটি রুপি।
বাংলাদেশ সময় : ১২৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
জেএইচ/