সালমান খানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশের দর্শকদের মুগ্ধ করেছে, প্রশংসাও কুড়িয়েছে। এর গল্প পাকিস্তানে একদল কর্মীকে বাস্তবে বজরঙ্গি ভাইজান হওয়ার অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
পাকিস্তানে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অসহায় জীবনযাপন করা মূক ও বধির ভারতীয় তরুণীকে সহায়তা দেওয়ার জন্য কিছু পাকিস্তানি স্বেচ্ছাসেবী একটি প্রচারণা কার্যক্রম চালু করেছেন। পরিবারের সঙ্গে তাকে মিলিয়ে দেওয়াই মূলত এর লক্ষ্য।
করাচিতে এখন আটকে আছে এমনই এক মূক-বধির তরুণী। পাঞ্জাব রেঞ্জার্স তাকে ইধি ফাউন্ডেশনে নিয়ে এসেছিলো ১৪ বছর আগে। লাহোরের ইধি সেন্টারে কিছুদিন রাখার পর তাকে পাঠানো হয় করাচিতে জনদরদি বিলকিস ইধির কাছে। মেয়েটির নাম রাখা হয় গীতা। এখন সে ২৩ বছর বয়সী তরুণী। আঙুল দেখিয়ে সে জানায়, তারা সাত ভাই ও চার বোন। কাগজ-কলম দিলে সে ‘১৯৩’ লিখেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটা ভারতের কোথাও তার বাড়ির নম্বর। সমাজকল্যাণ সংগঠন ইধি ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য ফয়সাল ইধি জানান, মেয়েটির পরিবার ও তার বাড়ি খোঁজার চেষ্টা চলছে।
পাকিস্তানের সাবেক মানবাধিকার মন্ত্রী আনসার বারনি তিন বছর আগে প্রথম গীতার বিষয়টি আলোচনায় আনেন। তার মন্তব্য, পরিবারের সঙ্গে এই মেয়েদেরকে পুনর্মিলন ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়া ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দেখারই ফসল। এরই মধ্যে ফেসবুকে তার জন্য প্রচারণা শুরু করেছেন তিনি।
কবির খান পরিচালিত ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এ পাকিস্তানি শিশু শাহিদাকে তার দেশে মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসার অভিযানে নামে ভারতের পবন কুমার চতুর্বেদি। এতে সালমানের সহশিল্পী হারশালি মালহোত্রা, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী, কারিনা কাপুর খান প্রমুখ।
শুধু ভারতেই ছবিটি আয় করেছে ২৮৩ কোটি ১৬ লাখ রুপি। আর অন্যান্য দেশের আয় মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫৪০ কোটি রুপির ঘরে গিয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৫
জেএইচ