উদ্দেশ্য নৃত্যদিবস উদযাপন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় তাই সাজ সাজ রব।
‘চিত্ত মম বিকশিত হোক নৃত্যের তালে তালে’- এর আলোকে মঙ্গল আলো প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে নৃত্যশিল্পী সংস্থা আয়োজিত আন্তর্জাতিক নৃত্যদিবসের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী ও আসাদুজ্জামান নূর। সঙ্গে ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভাষা সৈনিক ড. এনামুল হক।
‘মোর বীণা উঠে কোন সুরে বেজে’ গানের সঙ্গে বিশেষ শিশুদের নৃত্য পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় মুল পর্বের অনুষ্ঠান। মুল পর্বের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। তাদের পাশাপাশি ছিলেন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, নৃত্যশিল্পী মিনু হক, ওয়ার্ল্ডভিশনের সভাপতি অর্চনা ডি কস্তা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় ও ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে সম্মান জানায় বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা। আজীবন সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয় ড. এনামুল হককে।
অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির উন্নতির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করা হবে। শুধু নাচই নয়, শিল্পের সকল বিষয় নিয়েও সচেতন থাকতে হবে’।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘আমাদের দেশ একদিন এমন পর্যায়ে যাবে যে, দেশে পড়াশুনা করে শিল্প-সংস্কৃতির মান বাড়ানো যাবে। ’
অনুষ্ঠান জুড়ে নৃত্য পরিবেশন করে বিশেষ ছেলে-মেয়েরা, বৃহন্নলা সম্প্রদায়। পাশাপাশি ছিলো নৃত্যালোক, কত্থক নৃত্য, নৃত্যছন্দ, নান্দনিক, সুকন্যা প্রভৃতি দলের পরিবেশনা।
নৃত্য দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩ দিনের নৃত্যাঞ্চল উৎসব। ‘মানুষের মনের ইচ্ছাই সবচেয়ে বড় শক্তি’-এই শিরোনামে উৎসবের শেষ দিন সাজানো হয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, ৩০এপ্রিল ২০১৬
টিএস/এসও