ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

গানে গানে সেলফি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৬
গানে গানে সেলফি বিশাল দাড়লানি ও শেখর রবজিয়ানি, ছবি: বিনোদ-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘নমস্কার ঢাকা। সবাই কেমন আছো?’ বাঙালি ছাড়াও অনেকেই বাংলা ভাষায় এমন আপন করে সম্বোধন করতে পারে! বাংলাদেশে প্রথমবার এসে এমনই আন্তরিকতা প্রকাশ করলেন বলিউড দুনিয়ার জনপ্রিয় জুটি বিশাল-শেখর ও  শ্রুতি পাঠক।

বৈশাখ মাস। তবে তাপদাহ ছিলো না তেমন। বেশ রোমাঞ্চকর আবহাওয়ায়  ঢাকায় অভ্যর্থনা পেলেন এই তিন ভিনদেশি শিল্পী। ‘বাচনা হে হাসিনো’ গানটি দিয়েই নিজেদের উপস্থিতির জানান দেন বিশাল ও শেখর। দর্শক-শ্রোতার  উপচেপড়া ভিড় আর শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশনার শুরু তখনই।  
এ চিত্র ধরা পড়লো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (৫ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে ‘বিশাল অ্যান্ড শেখর লাইভ ইন ঢাকা ফিচারিং শ্রুতি পাঠক’ কনসার্টে।  

বিশাল-শেখর একে একে তাদের ‘সালাম নমস্তে’, ‘দাস বাহানে’, ‘আই হেট লাভ স্টোরি’-গানগুলো টানা পরিবেশন করেন। গানের এক ফাঁকে হঠাৎই শেখর পিয়ানোর সুরে হাজির করলেন কিশোর কুমারকে। পিয়ানোতে কিংবদন্তি এই গায়কের ‘এ কি হলো কেন হলো’ গানটির সুর তুলেছেন ও গেয়েছেন। যথারীতি হাততালি জুটলো তার ভাগ্যে। চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, কিশোর কুমারের এই গানের সঙ্গে নিজের গাওয়া ‘দিলনে তুমকো’ গানটির মেলবন্ধন করেছেন। এরপর ‘খুশব খুশবা’, ‘ভেলে’ গানগুলো পরিবেশন করেন শেখর।

 
রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করতেও ভুললেন না বিশাল-শেখর জুটি। ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানে শেখরের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন বিশালও। একের পর এক শোনালেন‘ও সোনা’, ‘দেশি বাসন্তি’, ‘বালাম পিচকারি’ ও ‘সেলফি লেলেঙ্গি’।   এ সময় দর্শক যেন বাধ ভেঙে চলে আসে মঞ্চের সামনে। তারাও সেলফি তুলতে শুরু করেন প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে। এ সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারীরাও যেন নির্বিকার! কেননা বিশাল নিজেই সবাইকে স্টেজের সামনে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। গানের ফাঁকে ফাঁকে বিশাল নিজেও সেলফি স্টিকে বাংলাদেশি ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুললেন।

 
জনপ্রিয় ‘মারজাওয়া’ গানটি নিয়ে আসেন শ্রুতি পাঠক। তার পরিবেশনার তালিকায় আরও ছিলো ‘লাড়কি বিউটিফুল’, ‘তু মেরা হিরো’ সহ আরও কিছু গান। শ্রুতির পরিবেশনা সবার মনঃপুত হয় নি। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, সরাসরি খুব কম গানই করেছেন তিনি। ঠোঁট মেলানো গানগুলো ঠিক উপভোগ করতে পারেননি দর্শক।

 
১৯৯৯ সালে ‘পেয়ার মে কাভি কাভি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সংগীত পরিচালক হিসেবে বলিউডে বিশাল-শেখর জুটির যাত্রা শুরু । পরে তারা ‘রেহনা হে তেরে দিলমে’, ‘ঝংকার বিটস’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘স্টুডেন্ট অব দি ইয়ার’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘ব্যাং ব্যাং’সহ সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত শাহরুখ খান অভিনীত ‘ফ্যান’-এর মতো আরও অনেক জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে তারা জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছেন।

 
অন্যদিকে, ‘ফ্যাশন’ সিনেমার ‘মার যাওয়া’ গানটির মাধ্যমে জনপ্রিয়তার তুঙ্গস্পর্শ করেন শ্রুতি পাঠক। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ‘তুঝে ভুলা দিয়া’, ‘আওয়ারা দিল’, ‘ক্রিমিনাল’ প্রভৃতি অন্যতম।

 
রাত বাড়ছে। প্রথমবার ঢাকায় এসে তাই দু’ ঘন্টায়ও মঞ্চ ছাড়তে চাইছেন না শিল্পীরা। এতোটাই প্রাণচাঞ্চল্য আর উন্মাদনা ছিলো শিল্পীদের পরিবেশনায়। আর দর্শককে মাতিয়ে রাখতে হরেক রকম চেষ্টাও করেছেন। বিশাল-শেখর প্রায়ই হাঁক ছুঁড়েছেন এভাবে, ‘তোমাদের কী ঘুম আসছে?’ কিংবা ‘আমরা কী তাহলে স্টেজ থেকে নেমে যাবো?’

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ৬ মে, ২০১৬
টিএস/জেএম/এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।