ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

পাকিস্তানে দিলীপ কুমারের পৈতৃক নিবাস ধ্বসের ঝুঁকিতে

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
পাকিস্তানে দিলীপ কুমারের পৈতৃক নিবাস ধ্বসের ঝুঁকিতে দিলীপ কুমার

পাকিস্তানের পেশোয়ারে বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমারের পৈতৃক নিবাস ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে এটি ধ্বসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

পাকিস্তানের পেশোয়ারে বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমারের পৈতৃক নিবাস ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে এটি ধ্বসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

পাকিস্তান সরকার বাড়িটিকে জাতীয় ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়েছে। তবে ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় খাইবার-পাকথুনখাওয়া কর্তৃপক্ষ এখনও এর দেখভালের দায়িত্ব নেয়নি।  

পেশোয়ারের কিসসা খাওয়ানি বাজারের বাসিন্দারা জানায়, ভবনটির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এখনও এর কোনো সুরাহা করতে পারেনি।  

দিলীপ কুমারের পৈতৃক বাড়ি জনবহুল এলাকায় অবস্থিত।  মাত্র ছয় ফুট চওড়া একটি সরু গলি দিয়ে যেতে হয় এখানে। এর বর্তমান ও পূর্বের মালিক আর্থিক বিরোধে জড়িয়ে আছেন। এটি কিনে নিতে খাইবার-পাকথুনখাওয়া কর্তৃপক্ষ কোনো তহবিল তৈরির উদ্যোগ নেয়নি। এরই মধ্যে বাড়িটি অত্যন্ত জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।  

রোববার (১০ ডিসেম্বর) মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ৯৪তম জন্মদিনের কেক কেটেছেন দিলীপ কুমার। জ্বর ও পায়ের ব্যথার কারণে এখানে কয়েকদিন ধরে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর, অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর, শাবানা আজমি, মহেশ ভাট।

অনেক বছর ধরে দিলীপ কুমারের পিতৃভিটা উদ্ধারের জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে ভক্তরা। গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ভবনটিকে জাতীয় ঐতিহ্যের মর্যাদা দেন। ভারতের মতো পাকিস্তানেও তিনি অনেক বড় তারকা। ১৯৯৮ সালে দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা নিশান-ই-ইমতিয়াজে ভূষিত করা হয় তাকে।  

১৯২২ সালে পেশোয়ারে দিলীপ কুমারের জন্ম। তার প্রকৃত নাম ইউসুফ খান। কৈশোরেই পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন তিনি। এরপর পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন মহারাষ্ট্রের দিওলালির একটি স্কুলে। ১৯৪০ সালে পুনেতে একটি ফলের দোকান দেন তিনি। পাশাপাশি চালাতে থাকেন ক্যান্টিন। এর তিন বছর পর অভিনেত্রী দেবিকা রানী ও তার স্বামী হিমাংশু রাইয়ের নজরে পড়েন তিনি।  

এর প্রেক্ষিতে ১৯৪৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জোয়ার ভাটা’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান দিলীপ কুমার। ১৯৪৭ সালে ‘জুগনু’র মাধ্যমে তারকাখ্যাতি পেয়ে যান তিনি। এরপর ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে স্মরণীয় ছবি ‘মধুমতি’, ‘নয়া দৌড়’, ‘আন্দাজ’, ‘দেবদাস’, ‘মুঘল-এ-আজম’, ‘রাম অউর শ্যাম’-এ দেখা গেছে তাকে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।