নয় দিনের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবার ১৮৮টি ছবি দেখানো হচ্ছে। এর মধ্যে পাঁচটি ইরানের নির্মাতা আব্বাস কিয়ারোস্তামির।
প্রদর্শনী স্থগিত করার কারণ হিসেবে ছবিটির প্রযোজক আরিফুর রহমান বলেন, ‘দুর্বল প্রজেকশন সিস্টেমের কারণে আমরা ছবির প্রদর্শনী স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছি। দর্শকদের কাছে এ করণে ক্ষমা চাই। ’
এ ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলো না উৎসব কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রদর্শনীর মাত্র তিন ঘণ্টা আগে পরিচালক জানালেন ছবিটা তারা দেখাতে অপারগ। বিষয়টা আমাদের হতবাক করেছে। আমাদেরকে কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে যে, আমাদের স্ক্রিনিং ব্যবস্থা ভালো নয়। এর বাইরে কিছু জানি না। শিডিউল অনুযায়ী ছবিটি প্রদর্শন করতে পারিনি বলে আমরা দর্শকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ’
আপনাদের স্ক্রিনিং ব্যবস্থা কতোটা উপযুক্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে আহমেদ মুজতবা জামাল বলেন, “বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রযুক্তির স্ক্রিনিং হচ্ছে এখানে। উৎসবে আব্বাস কিয়ারোস্তামির মতো বিখ্যাত নির্মাতার পাঁচটি ছবি দেখানো হচ্ছে। অন্য নির্মাতারাও এখানকার সীমাবদ্ধতা জেনে বুঝেই তাদের ছবিগুলো চালানোর অনুমতি দিয়েছেন বা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ‘মাটির প্রজার দেশে’র নির্মাতাও এ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। ”
এদিকে উৎসব থেকে ‘মাটির প্রজার দেশে’ সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে তিনি এ নিয়ে উৎসব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
ফারুকী ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “কালকে বিজন ইমতিয়াজের ছবি নিয়ে যেটা হলো সেটা চূড়ান্ত রকম অবহেলা। ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষ বাজে প্রজেকশনের অভিযোগের জবাবে প্রজেকশন ঠিক না করে যেভাবে ‘দেখালে দেখান, না দেখালে খোদা হাফেজ’ অ্যাটিটিউড দেখিয়েছে এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। ফিল্মমেকারের প্রতি অশ্রদ্ধা, দর্শকের প্রতি অবজ্ঞা এবং ফেস্টিভ্যালের স্পিরিট বিরোধী। ”
‘মাটির প্রজার দেশে’ ছবিটি নানা কারণে আলোচিত। এবার যুক্ত হলো নতুন প্রসঙ্গ। ছবিটির প্রথম প্রদর্শনী হয়েছিলো সিয়াটল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, রোকেয়া প্রাচী, মাহমুদুর অনিন্দ্য, শেউলী আক্তার, চিন্ময়ী গুপ্তা, মনির আহমেদ শাকিল, প্রশান্ত ত্রিপুরা, কচি খন্দকার, রিকিতা নন্দিনী শিমু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৭
এসও/জেএইচ