ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

টিভি কিউ : নির্বাচিত অনুষ্ঠান ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১০
টিভি কিউ : নির্বাচিত অনুষ্ঠান ১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার

এটিএন বাংলা
রাত ৮টা ॥ ধারাবাহিক নাটক : বাতাসের ঘর (৬৩তম পর্ব) ॥ মুজতবা আহমেদ মুরশেদের গল্প ও চিত্রনাট্য রচনায় নাটকটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন মিজানুর রহমান লাবু ও আবীর খান ॥ অভিনয়ে : তৌকীর আহমেদ, রিচি, সুইটি, মিলন, শামস সুমন, নাদিয়া, হাসান মাসুদ, চ্যালেঞ্জার, মহিউদ্দিন বাহার প্রমূখ ॥ গল্প : সংসার জীবনে তিন বৃদ্ধ তালেব, জামিল এবং ইমরানের সাথে তাদের পরিবারের সদস্যদের চিন্তা-ভাবনার মিল নেই। তালেব চৌধুরী নিজেকে বৃদ্ধ ভেবে জীবনের আনন্দ মুখরতা থেকে বঞ্চিত হতে যেমন নারাজ, তেমনি তার স্ত্রী এর উল্টো, সব সময় ধর্মকর্ম নিয়ে থাকে।

তার তিন ছেলে এবং দুই বৌমা। সবাই উদ্ভট ভাবনার। বৃদ্ধ ইমরান নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করে। নিঃসঙ্গতা কাটাতে পাড়ার বাচ্চাদের সাথে ক্রিকেট খেলতে চাইলেও বাচ্চারা তাকে পাত্তা দেয় না। অপরদিকে বৃদ্ধ জামিলের পুত্র মায়ের মৃত্যুর জন্য পিতাকে দায়ী করে চূড়ান্ত অবহেলা করতে থাকে। এমনি পরিস্থিতিতে একদিন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় তালেব এবং জামিল। তাদের সাথে কাকতালীয়ভাবে দেখা ইমরানের। অতঃপর, তিনবৃদ্ধ একসাথে সাজ-পোষাক বদলে তরুণ সাজে ॥

৮টা ৪০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : অগ্নিরথ (১৫ পর্ব)॥ নাজনীন হাসান চুমকী ও রাজিবুল ইসলাম রাজিবের যৌথ রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন রাজিবুল ইসলাম রাজিব ॥ অভিনয়ে- আনিসুর রহমান মিলন, বাঁধন, ফজলুর রহমান বাবু, শাহেদ, মাজনুন মিজান, নাজনীন হাসান চুমকী, শামসুল আলম বকুল, চিত্রলেখা গুহ প্রমূখ ॥ মোজাফফর সদ্য লেখাপড়া শেষ করা যুবক। তার অতি বিনয়কে সবাই বোকামী মনেকরে। বাবা আলী হোসেন বিভিন্ন প্রকার দুই নম্বরি ব্যবসা করে প্রচুর টাকা মালিক। এটা মেনে নিতে পারেনা মোজাফফর। টিউশনি করে নিজের খরচ চালায় সে। বাবার প্রতি এটাই তার নীরব প্রতিবাদ। মোজাফফরের যমজ বোন রিনি স্বামীর অর্থ লিপ্সা আর দুর্ব্যবহারের কারণে এক সময় ফিরে আসে। ছোট বোন অনি কাস, বন্ধু, আড্ডা নিয়ে ব্যাস্ত। ছোট ভাই সাগরের চরিত্র মোজাফফরের ঠিক বিপরীত। একদিন ঘটনাক্রমে মোজাফফরকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। শুরু হয় নতুন গল্প ॥


রাত ৯টা ২০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : সুবর্ণ স্বপ্ন (৪০ পর্ব) ॥ সোহান খানের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন মাসুদ মহিউদ্দিন ॥ অভিনয় করছেন- আনিসুর রহমান মিলন, অপূর্ব, কুসুম শিকদার, নাদিয়া, কে এস ফিরোজ, চিত্রলেখা গুহ, মোহাম্মদ বারী, মিঠু, অভি, হৃদি, সোহান খান প্রমূখ ॥ গল্প : সহজ-সরল, শিতি বেকার যুবক জিয়া। বাড়িওয়ালার মেয়ে ফারজানাকে প্রাইভেট পড়ায় সে। এক সময় ফারজানা জিয়ার প্রেমে পড়ে যায়। জিয়া অনেক বোঝায় কিন্তু ফারজানা প্রেমে অন্ধ। জিয়ার সাথে একই রুমে থাকে রোমেল। সে স্বপ্ন দেখে, একদিন অনেক বড় স্টার হবে। দিনের পর দিন বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউসে ঘুরতে থাকে সে। অন্যদিকে, মিলন এমবিএ পাশ করা স্মার্ট যুবক। তার মিশন শর্টকাটে বড়লোক হওয়া। এজন্য সে পটিয়ে বিয়ে করে ফেলে বড়লোকের কন্যা রিয়াকে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই তার ভুল ভাঙ্গে। ওদিকে ফারজানার মা মেয়ের জন্য ভাল পাত্র দেখে বিয়ে ঠিক করে। ফারজানা যথারীতি জিয়াকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। অসহায় জিয়া একটা চাকরীর জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। একটা চাকরী সে পেয়েও যায়, কিন্তু এর জন্য ঘুষ দিতে হবে দুই ল টাকা। জিয়া আর রোমেল মিলে ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। একদিন মিলনকে টার্গেট করে তারা। ছিনতাই করতে যেয়ে উল্টো তাদের তিন জনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এবার তিনজন মিলে সূè এক ফন্দি আঁটে ॥


চ্যানেল আই
বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট ॥ গল্প নয় নাটক : নতুন জলের শব্দ ॥ গল্প : সেলিনা হোসেন ॥ পরিচালনা করেছেন জামাল রেজা। অভিনয় করেছেন শামীম জামান, আফরোজা আবেদীন, এবি সিদ্দিক, টুনটুনি প্রমুখ।

সন্ধ্যা ৬ টায় ॥ পবিত্র মাহে রমজান মাসের প্রতিদিন সরাসরি ইসলামিক অনুষ্ঠান : রমজানুল মোবারক ॥ ৩০ পর্বের এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন এম কে জামান ॥ দর্শকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে থাকছে ইসলামিক আলোচনা, রমজানের তাৎপর্যপূর্ণ সব বিষয়ের প্রতি আলোকপাত ইত্যাদি ॥ এই অনুষ্ঠানের প্রধান চুম্বক আকর্ষণ হলো ‘কাফেলা’। সারা দুনিয়ার যত ইসলামিক নিদর্শন সমূহ আছে তা এই অংশে দেখানো হচ্ছে। এ পর্ব উপস্থাপনা করছেন মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী ॥ এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরও থাকছে হামদ, নাত, সেহরী, ইফতারের সময়সূচি ও পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত ॥

রাত ৭টা ৫০ মিনিট ॥ কমেডি ধারাকাহিক : মুকিম ব্রাদার্স ॥ গল্প : মোস্তফা সরয়ার ফারুকী,  চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : আশফাক নিপুন ॥ এতে অভিনয় করেছে নুসরাত ইমরোজ তিশা, ইশরাত জাহান চৈতী, জাহিদুল হক অপু, মুসাফির সৈয়দ, রাশেদা চৌধুরী, হাসান আজাদ, আল-আমিন সবুজ প্রমুখ ॥

রাত ৯টা ৩৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : স্বপ্নবাজার ॥ রচনা : মাসুম রেজা, পরিচালনা : সালাউদ্দিন লাভলু ॥ অভিনয়ে চঞ্চল চৌধুরী, ছন্দা, তানজিকা আমিন, সাজু খাদেম, চাঁদনী, শানু, শামস সুমন, আহমেদ রুবেল, সৈয়দ হাসান ইমাম, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমুখ ॥

এনটিভি
রাত ৮টা ১০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক :এফ এন এফ (ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি) ॥ রেদওয়ান রনির রচনা ও পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত ,মোশাররফ করিম, আহমেদ রুবেল, পার্থ বড়–য়া ,অপি করিম, সুমাইয়া শিমু, শখ, ফারুক আহমেদ, ম ম মোর্শেদ, সাজু , নুপুর , নাফা, পিদিম, দিহান, মিলন ভট্টাচার্য্য ,সুস্ময় শরীফ ,আনোয়ার প্রমুখ ॥ গল্প :
কয়েকজন বন্ধু ও পরিবারের একান্ত কিছু গল্প ও সবার সাথে সবার আত্মিক ও সামাজিক সংশ্লিষ্টতার রসায়ন নিয়ে এফ এন এফ (ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি)। গল্পের শুরুতে দেখা যায় সিলেটের সুন্দর একটি লোকেশনে একটি গাইডেড ট্যুরের আয়োজনে আনন্দ ভ্রমনে যাচ্ছে কয়েকটি ফ্যামিলি এবং কয়েকজন বন্ধু। এই ট্যুরের মধ্যকার বিভিন্ন ঘটনার দ্বারা ঘনিষ্টতা হয় সবার সাথে সবার। ঢাকায় গিয়ে একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে মূল গল্পের ভিতর থেকে তৈরি হতে থাকে অসংখ্য গল্প।


বাংলাভিশন
রাত ৮টা ১৫ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : হৈ হৈ রৈ রৈ ॥ শামীম সাগরের রচনা এবং অরণ্য আনোয়ার ও সাইদুর রহমান রাসেলের পরিচালনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, আফরোজা বানু, মুনিরা মিঠু, সজল, শানারৈ দেবী শানু, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম, সঞ্জীব আহমেদ, শামীম প্রমুখ ॥ গল্প : সালমান সাহেবের বাসার সব কাজের লোকই পুরুষ। হঠাৎ একদিন তারা একসাথে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসে। কারণ তাদের নাকি অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অধিকার আদায়ের ল্েয তারা নানান কৌশলের আশ্রয় নেয়া শুরু করল। ওদিকে সালমান সাহেবের স্ত্রী এবং ছেলে এ-বিদ্রোহ মেনে নিতে পারে না, তারাও নানান কৌশলে কাজের লোকদের বিদ্রোহ দমন করতে চায়। এভাবে মালিক ও শ্রমিক পরে মধ্যে কৌশল আর পাল্টা কৌশলের খেলা জমে ওঠে। আর এ খেলায় দুই পে একে একে যোগ দেয় সালমান সাহেবের অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে প্রতিবেশি টং দোকানদার পর্যন্ত ॥

রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ প্রতিদিনের ধারাবাহিক : গুলশান এভিনিউ ॥ নিমা রহমানের রচনা ও সতীর্থ রহমানের পর্ব-পরিচালনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজাতা, তারিক আনাম খান, দিতি, মৌ, অপূর্ব, আতাউর রহমান, মিতা নূর, বাঁধন, আলভী, টুটুল, লিনা আহমেদ, প্রিসিলা পারভীন, শশী, নিসা, মাহমুদ সাজ্জাদ, মারুফ প্রমুখ ॥ গল্প : আলী রেজা চৌধুরীর তিন পূত্র। শাহাদাৎ, শারাফাত ও শাফকাত। কিন্তু তিনজনের মধ্যে শুধু শাফকাত বাবার সঙ্গে থাকে। শাফকাতের স্ত্রী ইয়াসমিন। তাদের ৬ সন্তান। বড় ছেলে শামীম, মেঝো নাসিম ও ছোট ওয়াসিম। শামীমের স্ত্রী ফারজানা। কিন্তু ঘরে স্ত্রী থাকা স্বত্ত্বেও সে খুঁজে বেড়ায় অন্য কাউকে? নাসিমে স্ত্রী লাবনীর উঁচু বংশের অহমিকা সংসারে ঝড় আনে। ছোট ছেলে ওয়াসিমের সবেমাত্র বিয়ে হয়েছে, ধনী পরিবারের একমাত্র মেয়ে সামিয়ার সঙ্গে। কিন্তু সংসারে পা দিতেই তার নাম হয়ে যায় অলুণে। দাদী সহ্য করতে পারে না সামিয়াকে। এ বাড়ির মেয়ে ফারাহ ভালোবেসে বিয়ে করেছিল উঠতি গায়ক কবীরকে। কিন্তু এখন ফারাহ’র বাবা-মা চায় কবীরকে যেন ফারাহ ডিভোর্স দেয়। একসময় লন্ডন থেকে রেহানা নামের এক মেয়ে ঢাকায় এসে শাফকাতের কাছে দাবী করে পাঁচ কোঁটি টাকা। এরকম  নানা পারিবারিক দ্বন্ধ-সংঘাত, সুখ-দুঃখ, ভালোবাসা, ন্যায়-অন্যায়, উদারতা-নীচুতা এবং উত্থান-পতনের চালচিত্র উঠে এসেছে ‘গুলশান এভিনিউ’তে ॥

দেশ টিভি
রাত ৯টা ৪৫ মিনিট ॥ ফান শো : দেশ ই গল্প ॥ উপস্থাপক ইরেশ যাকেরের সাথে প্রতি অনুষ্ঠানে একজন করে অতিথি থাকেন। তারা দুই জন এক এক পর্বে এক এক চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। যেমন : উদীয়মান বাংলা সিনেমার নায়িকার চরিত্র অভিনয়, সরাদিন বাসায় বসে হিন্দি সিরিয়াল ও হিন্দি মুভি দেখেন এমন একজন সাধারণ গৃহিনী চরিত্র, সন্ত্রাসীর ভুমিকায়, গবেষক এর ভুমিকায়, একজন রাজনীতিবিদ এর ভুমিকা। দেশ ব গল্প একটি বিনোদন মুলক অনুষ্ঠান হলেও এখানে দেশ বিদেশের নানান অসঙ্গতি ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে তুলে ধরা হয়। দেশ ॥ গল্পের এই পর্বে থাকবেন কাজী উজ্জল। কাল্পনিক দর্শক অনুষ্ঠানে ফোন করে তাদের সমস্যার সমাধান জানতে চাইবে। আলোচক তার জ্ঞান-গর্ভ(?) সমাধান প্রদান করবেন ॥  গ্রন্থনা : মারুফ রেহমান। প্রযোজনায় সুমন সাহা ॥

রাত ১০টা ৩০ মিনিট ॥ মেগা ধারাবাহিক নাটক : মেট্রো ॥ পান্থ শাহ্রিয়ারের রচনা ও ফাত্তাহ তানভীরের পরিচালনায় । ধারাবাহিকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑ আসাদুজ্জামান নূর, রাইসুল ইসলাম আসাদ, মামুনুর রশীদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, শহিদুজ্জামান সেলিম, সোলাইমান খোকা, শামস সুমন, বিজরী বরকতউল্লাহ, সাবেরী আলম, শতাব্দী ওয়াদুদ, চাঁদনী, মৌসুমী বিশ্বাস, শশী, শ্যামল, সমাপ্তি ও অন্যান্য ॥ গল্প : অন্ধকার থেকে আলো আবার আলো থেকে মধ্যরাতের অন্ধকারে ডুবে যায় আমাদেরই অতি পরিচিত মেট্রো সিটি ঢাকা। এ শহরের প্রতিটি রাস্তা অলি গলি দালান কিংবা উদ্যান আমাদের চির চেনা। মনে হয় যেন রোজ সকালে দেখা হয় এই শহরের সাথে - শহরে ব্যস্ত ছুটে চলা মানুষ গুলোর সাথে। মনে হয় যেন মুখে মুখ লাগিয়ে দেখতে পাবো সবাই আমরা কেমন একই রকম মুখোশ আটা। তারপরও তো সবাই ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। একবার যদি এদের মুখোশের ফাঁক গলিয়ে দেখা যায় তবে আমরা দেখতে পাই কি বিচিত্র সব জীবন। হাসি আনন্দের মধ্যে রঙীন কাপড়ের পাট করা ভাঁজের মধ্যে কেমন সূ ভাবে লুকিয়ে থাকে বেদনা আর জীর্ণতার ছোপ ছোপ দাগ। সবাই যখন একই ছাদের নীচে অবস্থান করে তখনও জানা হয়না একজন আরেক জনকে সম্পূর্ণরূপে অথবা কে কার পরিপূরক। রং বদলায় ভিন্নতার সাথে তাল মিলিয়ে। কারো সংসার হয় কারো বা হয়ে থাকা সংসার এর মাঝখানে ছিড়ে যাওয়া দাগটা ঢেকে রাখতে চায়। কিন্তু এরা সবাই ছুটছে এক অদৃশ্য মেট্রোপলিটন কালচারের দিকে ॥

রাত ১১টা ৫৫ মিনিট ॥ বিরতিহীন টেলিফিল্ম : পিরিত ॥ প্রশান্ত অধিকারীর রচনা ও পরিচালনায় টেলিফিল্মে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়রাজ, মম, প্রান রায়, শাহানা সুমি, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহতাব হোসেন, আলতাফ হোসেন ॥ গল্প : নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে কুসংস্কার, পরচর্চা গ্রামের মানুষের এক ধরনের বিনোদন। যা নিয়ন্ত্রনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন যে কোন ধর্মের লেবাসধারি কিছু মানুষ। আমাদের সমাজে যার শুরু বা শেষ বলে কিছু নেই। তেমনি একটি গল্পের উৎস থেকে এ গল্পের শুরু। এ রকম একটি ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গল্পে হাজির হয় সুজন আর পুতুল। কেন্দ্রীয় চরিত্র। যাদের ঘিরেই শেষ হয় গল্প। পুতুল বোবা, এ কথা জানার পর দর্শক মনে যে আকুলতার সৃষ্টি হয় তাই গল্পে মূল আকর্ষণ। শহর থেকে ফিরে নিজগ্রাম হলেও কাউকে সে বিশ্বাস করাতে পারেনা, পুতুল তার বিবাহিতা স্ত্রী। সমাজের সবাই তার দিকে বাঁকা চোখে তাকায়। শুরুতেই ঝামেলা কমাতে সে পুতুলকে কিছুটা চুপচাপভাবে রাখতে চেয়েছিল। আর সেই বুদ্ধিই তার জন্য কাল হয়ে দাড়ায়। শুরু হয় সুজন ও পুতুলের জীবনের নতুন মোঢ়। সমাজের সব স্তরের লোকজন আবারো সুজন পুতুলের বিয়ের দিন ধার্য করেছে। তাদের বিয়ের দিন ঠিক গেলেও দেখা দেয় শুভলগ্ন সমস্যা। এর পরে সমাজ চলে তাদের মতে। অশুভ লগ্নকে শুভ করতে মাঝখানে হাজির করা হয় একটি ছাগল ও কলাগাছ। প্রথা অনুযায়ী আগে কলাগাছের সাথে সুজনের বিয়ে হবে। পরে পুতুলের সাথে। বিচার বিভক্ত হয় দুই ভাবে। আবার বিচার বসে। এবারের সমস্যা পুতুলের  পেটের সন্তান। বিচারের মাঠ উত্তেজিত। হিন্দু-মুসলমান উভয়ই বিচারের জন্য নতুন পথ খোঁজে। এরকম এক সময়ে ভালবাসার মূল দিতে একদিন ভোর রাতে সুজন ও পুতুল গরুর গাড়ি করে নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। গল্প চলে গল্পের মত...। উল্লেখ্য, গল্পটি রংপুরের বিভিন্ন লোকেশনে আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত।

একুশে টিভি
সন্ধ্যা ০৬টা ৩০ মিনিট ॥ সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ভিন্ন আঙ্গিকে নির্মিত অনুষ্ঠান : ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ॥ আর জে নিরবের ঊপস্থাপন্ায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন ফাতেমা শিলু ॥ ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানটি একটি  কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়র ঐতিহ্য সবার সামনে তুলে ধরা হয়। এতে ক্যাম্পাস পরিচিতি সহ থাকে ক্যাম্পাসের নানা তথ্য। শুধু তথ্যই নয় কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংস্কৃতিক র্কাযক্রমও উঠে আসে এই অনুষ্ঠানটিতে। কলেজের শিাদান পদ্ধতি, ফলাফল , প্রশাসনব্যবস্থা সহ নানা বিষয় তুলে ধরা হয়। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দেন শিাব্যবস্থা নিয়ে মতামত। ছাত্র-ছাত্রীরাও শেয়ার করে তাদের এইম ইন লাইফ, সমকালীন ভাবনা সহ আরো নানা মজার বিষয় ॥

রাত ০৯টা ৩০ মিনিট ॥ ধারাবাহিক নাটক : জহুর আলী জহুরি ॥ খলিলুর রহমান শাওনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন  কায়সার আহমেদ ॥ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, ডলি জহুর, আনিসুর রহমান মিলন, লিটু আনাম, আজিজুল হাকিম, কুসুম শিকদার, বিন্দু, খ ম হাসান, আব্দুল রাতিন, মোমেনা চেীধুরী, শামীম, সাজু খাদেম সহ অনেকে ॥ গল্প : পুরনো ঢাকার অধিবাসী জহুর আলী একজন পেশাদার জহুরি। একটি জুয়েলারীতে তিনি কাজ করেন। স্বর্ণ ও পাথর পরীা করার পাশাপাশি তিনি হস্তরেখা দেখে ভাগ্য পরীা করেন এবং বিভিন্ন খদ্দেরের কাছে পাথর বিক্রি করেন। জহুরের বাবা সবুর আলী একই পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। জহুরগিড়ি জহুর আলীর বংশের ঐতিহ্য এবং পবিত্র পেশা। সে কারণে অন্য পেশা গ্রহণ করেন নি জহুর আলী। অন্যের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নানান ধরণের পাথর বন্দোবস্ত করে দিলেও নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি তার পরিবারের। তবও তিনি গভীরভাবে বিশ্বাস করেন তার বাপ দাদার পবিত্র পেশাই একদিন তার সেীভাগ্য ফিরিয়ে আনবে। জহুর আলীর তিন মেয়ে। তারা হলেন হীরা, চুন্নী এবং পান্না। হীরাকে বড় আশা করে বিয়ে দিয়েছিলো সহজ সরল যুবক রজব ওস্তাগারের সাথে। কিন্তু স্বামীর ভালোবাসা থাকা স্বত্তেও হীরা বেশি দিন স্বামীর ঘর করতে পারেনি। ননস চানবানুর ষ^ড়যন্ত্রে বাবার বাড়িতে ফিরে আসতে হয় তাকে। চানবানু প্রতি নিয়ত চাপ দেয় হীরাকে তালাক দিয়ে আরেকটা বিয়ে করতে। কিন্তু রজব রাজী হয়না। একসাথে না থাকতে পারলেও স্ত্রীর সাথে তার অটুট ভালোবাসা আছে। জহুর আলীর বিশ্বাস তার পাথরের কারণে হীরার বিয়ে এখনও টিকে আছে। তিনি আশা করেন পাথরের কল্যানে একদিন হীরা তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন। চুন্নী এস এস সিতে ফেল করে ঘরে বসা। তার বিয়ের চেষ্টা করছেন। জহুর আলী প্রতি মাসেই নতু নতুন পাথর ব্যাবহার করতে দেয়। রজব ওস্তাগারের ছোট ভাই নয়া চানকে সে পছন্দ করে। কিন্তু তার হাব ভাবে তা প্রকাশ পায়না। নয়া চান নিশ্চিত হতে পারেনা চুন্নী তাকে ভালোবাসে কিনা। পান্না স্থানীয় কলেজে ডিগ্রী কাসে পড়ে। আধুনিক শিা পেয়ে পান্না অনেক বেশি আশাবাদী। বাবার পাথরের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস করে সে। এ নিয়ে বাবার সাথে পান্নার ঠান্ড লড়াই আছে। পান্নাও পছন্দ করে নয়া চানকে। নয়া চান দুবোনের সাথেই সর্ম্পক রাখে। এই আশায় সে দুজনের এক জনকে সে বিয়ে করার সুযোগ পাবে ॥

 বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ২১ ১০, আগস্ট ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।