অভিযোগ করে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার চাচাতো বোন জানান, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেসময় জিতেন্দ্রর বয়স ছিলো ২৮ বছর। তিনি ছিলেন ১৮ বছরের যুবতী।
এখন জিতেন্দ্রর বয়স ৭৫ বছর। আর অভিযোগকারি ৬৫ বছর বয়সী। কিন্তু সুবিচার চাইতে কেনো প্রায় চার দশক সময় নিয়েছেন ওই বৃদ্ধা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাবা-মা জানতে পারলে আঘাত পাবেন। সেই কারণেই এতোদিন মুখ ফুটে নিজের উপরে হওয়া অপমানের কথা বলতে পারেননি তিনি। আজ বাবা-মা নেই। তাই মান রাখার দায়ভারও নেই তার। সে জন্যই পুলিশের কাছে জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা।
নিজের নাম প্রকাশ্যে না আনার কারণ জানিয়ে জিতেন্দ্রর চাচাতো বোন জানান, যার বিরুদ্ধে তিনি এমন মারাত্মক অভিযোগটি এনেছেন, সেই বলিউড অভিনেতা রাজনৈতিকভাবেও বেশ প্রভাবশালী। তাই বৃদ্ধা আশঙ্কা করছেন, নাম প্রকাশ্যে এলে তিনি তো বিপদে পড়তে পারেন, পাশপাশি তার পরিবারেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই পুলিশের কাছেও নিজের নাম-পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
৬০ ও ৯০ দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরেই রূপালি পর্দার আড়ালে রয়েছেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। ১৯৫৯ সালে ‘নভরঙ’ ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। এরপর ‘ফার্জ’, ‘হামজোলি’, ‘সানযোগ’, ‘হিম্মাতওয়ালা’, ‘মাওয়ালি’, ‘জানি দুশমন’, ‘তফা’ ছবিগুলোতে দেখা গেছে তাকে। সবশেষ ১৯৯৪ সালে ‘উধার কি জিন্দেগি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
বিএসকে