হ্যা, আবারো ফতেহ আলীর বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারের অভিযোগ উঠেছে । অর্থাৎ ২০১১ সালে দুই কোটি ভারতীয় রুপি নেয়ার ক্ষেত্রে বৈদেশিক লেনদেন নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলো তার বিরুদ্ধে।
যে কারণে ফতেহ আলি খানকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছে ইডি (ভারতীয় তদন্তকারী)। জানা গেছে, ৪৫ দিনের মধ্যে তার কাছ থেকে জবাবদিহিতা চেয়েছে তদন্তকারীরা।
২০১১ সালের একটি মামলায় ফেমা আইনে পাকিস্তানি এই গায়ককে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছিলো। সেই সময় দিল্লি বিমানবন্দরে ফতেহ আলীকে আটকও করেছিলো ডিআরআই।
তার কাছে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মুদ্রা ছিলো বলে অভিযোগ উঠেছিলো তখন। ফতেহ আলী ও তার দুই ঘনিষ্ঠ ১.২৪ লক্ষ ইউএস ডলার সঙ্গে নিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন বলে জানতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ফেমা নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিদেশি নাগরিক পাঁচ হাজার ডলারের বেশি নগদ টাকা সঙ্গে নিয়ে কোথাও যেতে পারবেন না।
২০১৫ সালে গুনী এই সঙ্গীতজ্ঞের বক্তব্য রেকর্ডের জন্য আদেশ জারি করেছিল ইডি। সেই সময় ইডির জিজ্ঞাসাবাদে রাহাত ফতেহ আলি কোনো অন্যায় করেননি বলে জানিয়েছিলেন। বড় অংকের টাকা তার ঘনিষ্ঠরা সঙ্গে রেখেছিলেন। কারণ, তারা একটা দল নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিলেন বলে যুক্তি দিয়েছিলেন ফতেহ।
রাহাত ফতেহ আলী খান প্রাথমিকভাবে মুসলিম সুফি হিসেবে ভক্তিমুলক গান করতেন। তিনি ওস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাগ্নে এবং ওস্তাদ ফারুখ ফতেহ আলী খানের পুত্র। সুফি, কাওয়ালি ও গজলশিল্পী হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত তিনি। বলিউড সিনেমাশিল্পে একজন প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে তার অসামান্য অবদান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
ওএফবি