ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

প্রথম নারী সুপারস্টারের চলে যাওয়ার এক বছর

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
প্রথম নারী সুপারস্টারের চলে যাওয়ার এক বছর শ্রীদেবী

মাত্র ৪ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জীবন শুরু করেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী শ্রীদেবী। ১৯৬৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নানা ভাষায় তার ৩০০টির মতো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রায় পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী অসংখ্য দর্শক ও ভক্তের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন। তাকে বলা হয় ভারতীয় সিনেমার প্রথম নারী সুপারস্টার।

২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে আকস্মিক এক দুর্ঘটনায় সবাইকে কাঁদিয়ে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান শ্রীদেবী। সেখান থেকে তিনদিন পর ভারতে পৌঁছায় তার মরদেহ।

এরপর মুম্বাইয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এই অভিনেত্রীকে সমাহিত করা হয়।

১৯৬৩ সালের ১৩ অগাস্ট তামিলনাড়ুর শিবকাশিতে শ্রীদেবী জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গার আয়াপ্পান। হিন্দি ছাড়াও একাধারে তামিল, তেলেগু, কান্নাড়া ও মালায়ালাম সিনেমায় তিনি জ্যোতি ছড়িয়েছেন।

১৯৬৯ সালে তামিল সিনেমা ‘থুনাইভান’তে শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। একই বছর মালায়াম সিনেমা ‘পুমপাত্তা’র জন্য সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে কেরালার রাজ্যপুরস্কার জয় করেন তিনি।   ১৯৭৬ সালে তামিল সিনেমা ‘মুন্ড্রু মুদিচু’তে রজনীকান্ত ও কামাল হাসানের সহ-অভিনেত্রী হিসেবে তিনি অভিনয় করেছিলেন।

১৯৭৫ সালে শিশুশিল্পী হিসেবেই মাত্র ১৩ বছর বয়সে ‘জুলি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে পা রাখেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’খ্যাত এই অভিনেত্রী।

‘হিম্মতওয়ালা’, ‘সাদমা’, ‘নাগিনা’, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’, ‘চালবাজ’ এবং ‘ইংলিশ ভিংলিশ’র মতো হিন্দি সিনেমায় নিজের অভিনয়ের জাত চিনিয়েছেন শ্রীদেবী। ১৯৭৬ সাল থেকে তামিল সিনেমায় নায়িকা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য তামিল সিনেমার মধ্যে রয়েছে-‘মনড্রু মুদিচু’ (১৯৭৬), ‘সিগাপ্পু রোজাক্কাল’ (১৯৭৮), ‘মিনদাম কোকিলা’ (১৯৮১), ‘মুনদ্রাম পিলাই’ (১৯৮২), ‘আখেরি পরাটাম’(১৯৮৮) ও ‘কৃষ্ণানা কৃষ্ণানাম’ (১৯৯১) ইত্যাদি।

আশির দশকে হিন্দি সিনেমা জগতে নারী সুপারস্টার হয়ে ওঠেন শ্রীদেবী। রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি তিন ধরনের অভিনয়েই তিনি ছিলেন সেরা। নাচেও ছিলেন পারদর্শী। এমন কি সেসময় সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নেওয়া অভিনেত্রীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।

১৯৮১ সালে তামিল সিনেমা ‘মিনদাম কোকিলা’তে অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার  করেন তিনি। পরের বছর ১৯৮২ সালে ‘মুনদ্রাম পিলাই’ সিনেমার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তামিলনাড়ু রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেন শ্রীদেবী। এছাড়া হিন্দি সিনেমা ‘মম’-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে পদ্মশ্রী সম্মাননায় তাকে ভূষিত করা হয়। অভিনয়ের জন্য পাঁচবার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে।

শ্রীদেবী ১৯৯৬ সালে প্রযোজক বনি কাপুরকে বিয়ে করেন। এরপর প্রায় ১৫ বছর পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। ২০১২ সালে ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউডে ফেরেন তিনি। শ্রীদেবী-বনি দম্পতির দুই সন্তান জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুর। মায়ের মৃত্যুর পরে ২০১৮ সালেই ‘ধাড়াক’র মধ্য দিয়ে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ ঘটে জাহ্নবীর। চলতি বছর খুশিরও বড় পর্দায় অভিষেক হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।