সোমবার (১৫ এপ্রিল) ফেরদৌসের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ক্ষমতাসীন বিজেপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে একটি রোড-শো’তে অংশ নেওয়ার পর এ বিষয়ে অভিযোগ দেয় কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশি নাগরিক ফেরদৌস আহমেদ ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করেছেন বলে ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিজনেস ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অবিলম্বে তাকে ভারত ছাড়ার জন্য নোটিশ জারি করেছে। তাকে কালো তালিকাভুক্তও করা হলো।
রায়গঞ্জের ওই প্রচারণায় ফেরদৌস ছাড়াও ছিলেন টলিউডের নায়ক অঙ্কুশ হাজরা ও নায়িকা পায়েল সরকার। ফেরদৌস রোড-শোয়ে তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান।
জানা যায়, বিজেপির অভিযোগ দায়েরের পর নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেল কাছে ফেরদৌসের ভিসার ধরন সম্পর্কে জানতে চায়। এর পরই ইমিগ্রেশন ব্যুরো ওই রিপোর্ট দেয় কমিশনকে।
ফেরদৌসের এই প্রচারণার সমালোচনা করে বিজেপি নেতা প্রতাপ ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের প্রচার বেআইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব কিছুই সীমান্তের ওপার থেকে আসে।
বিজেপি নেতাদের ইঙ্গিত, রায়গঞ্জের সংখ্যালঘু ভোটারদের প্রভাবিত করতেই বাংলাদেশি নায়ককে প্রচারে এনেছে তৃণমূল।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, কীভাবে একজন বিদেশি ভারতের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেন? তিনি মন্তব্য করেন, আগামীকাল হয়তো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও নির্বাচনী প্রচারে আমন্ত্রণ জানাতে পারে কেউ কেউ।
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয় বর্গী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা করে দিয়েছেন, আর এখন তিনি বাংলাদেশি শিল্পীদের দিয়ে প্রচার করাচ্ছেন।
ফেরদৌসের এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যথেষ্ট আলোড়ন তুলেছে। আলোচনা তুলেছে ঢাকাই শোবিজ পাড়ায়ও।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৯
এইচএ/
** তৃণমূলের ভোট প্রচারে ফেরদৌস, ভিসা বাতিল করলো ভারত