নন্দিত দুই তারকা চিত্রনায়িকা গুলশান আরা চম্পা ও অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিমের জন্মদিন মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি)। রাত থেকেই তারা দু’জন সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত ও অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘তিনকন্যা’খ্যাত অভিনেত্রী সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। এই তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট হলেন গুলশান আরা চম্পা। পঞ্চাশ দশকে যশোর শহরের পৈতৃক বাড়িতে তার জন্ম।
১৯৮১ সালে বিটিভিতে আবদুল্লাহ আল মামুন রচিত ও প্রযোজিত ‘ডুব সাঁতার’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনের শুরু করেন চম্পা। তবে তিনি বড় পর্দায় আসেন বড় বোন সুচন্দার আগ্রহে। ১৯৮৬ সালে শিবলী সাদিকের ‘তিনকন্যা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চম্পার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এতে তারা তিন বোনই (সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা) অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি দারুণভাবে ব্যবসা সফল হয়। পরে ‘সহযাত্রী’ এবং ‘ভেজা চোখ’ চলচ্চিত্রেও সাফল্য পান চম্পা। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নব্বই দশকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের এক নম্বর নায়িকা চম্পা। সামাজিক, অ্যাকশন, ফোক-সব ধরনের চলচ্চিত্রে তিনি দারুণভাবে সফল হন।
চম্পা-সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এগুলো হলো- গৌতম ঘোষের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, শাহজাহান চৌধুরীর ‘উত্তরের খেপ’ ও শেখ নেয়ামত আলীর ‘অন্যজীবন’। আর সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে দু’বার চাষী নজরুলের ‘শাস্তি’ এবং মুরাদ পারভেজের ‘চন্দ্রগ্রহণ’ চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এ ছাড়াও ‘জিয়া স্বর্ণপদক’ ও ‘শেরেবাংলা পদক’ পেয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রের অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম একষট্টি বছরে পা রাখলেন। ১৯৬১ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
ছাত্রজীবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে শহীদুজ্জামান সেলিম যুক্ত হন নাট্য আন্দোলনে। পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালে তিনি ঢাকা থিয়েটারে মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমানকাল পর্যন্ত এই দলের অধীনে অনিয়মিতভাবে মঞ্চে অভিনয় করে আসছেন।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘জোনাকি জ্বলে’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার ছোটপর্দায় অভিষেক ঘটে। শহীদুজ্জামান সেলিম প্রায় দেড় শতাধিকেরও বেশি বাংলা টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি কাজ করেছেন বহু বিজ্ঞাপনচিত্রে।
এছাড়া বড় পর্দায়ও রয়েছে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি। সেলিম মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ (২০০৬), রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ (২০১২), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ (২০১৩), জাহিদুর রহিম অঞ্জন পরিচালিত ‘মেঘমল্লার’ (২০১৫), রিয়াজুল রিজুর ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’সহ (২০১৫) বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
জেআইএম