দেশের প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি সিনেমা প্রদর্শনে একমত পোষণ করেছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক, প্রযোজক ও পরিচালিক সমিতি। তিন সমিতির নেতারা সম্মিলিত এক বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় নির্মাতারা সিনেমার অভাব পূরণ করতে পারছেন না বলে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ ঠেকাতে সীমিত আকারে হলেও ভারতীয় সিনেমা আমদানির দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা। সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলেছে বছরে ১০টি সিনেমা আমদানির আশ্বাস।
বড় নাজেহাল অবস্থায় দেশের প্রেক্ষাগৃহ। ‘প্রযোজক বাঁচলে, চলচ্চিত্র বাঁচবে’ বর্তমান বাস্তবতায় স্লোগান পাল্টে হয়েছে ‘সিনেমা হল বাঁচলে, চলচ্চিত্র বাঁচবে’।
পর্যাপ্ত মানসম্মত সিনেমার অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ। বাকি যেগুলো আছে, সেগুলোও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা। এমন বাস্তবতায় প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ে কাছে বছরে ১০টি হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতি চাওয়া হয়। তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি আমলে নিয়ে সব সমিতির মতামত নেওয়ার কথা বলেন প্রদর্শক সমিতিকে।
এর পরই প্রযোজক, পরিচালক এবং প্রদর্শক সমিতির কর্তাব্যাক্তিরা বৈঠক করেন। যেখানে বৈঠক শেষে একমত হন তারা। তবে, অনুমতি মিললেও দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলো হিন্দি সিনেমা প্রদর্শনের উপযুক্ত নয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার বলিউড সিনেমা আমদানির অনুমতি দিলে মালিকপক্ষ তাদের প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের কাজ শুরু করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
ওএফবি