ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাননি ববিতা

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দাওয়াত পাননি ববিতা ববিতা

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হয়ে গেলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান ২০১৯। রোববার (১৭ জানুয়ারি) এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে সোহেল রানা সশরীরে হাজির হয়ে সম্মাননা পদক গ্রহণ করলেও হাজির হাতে পারেননি জহির রায়হানের সহধর্মিণী অভিনেত্রী সুচন্দা। তবে, তার পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে।

কিন্তু এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দাওয়াতই পেলেন না আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বড় বোন এবার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে, আমি অপেক্ষায় ছিলাম অনুষ্ঠানে যাবো। কিন্তু আমাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোই হলো না। আমি বলছি না যে, ভুল হতে পারে না। ভুল হতেই পারে, কিন্তু আমি ৭০টির বেশি দেশি-বিদেশি পুরস্কার পেয়েছি। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। আমি যদি আমন্ত্রণ না পাই, তাহলে নিশ্চয়ই এ রকম ভুল আরও হয়েছে। এটা কি দুঃখজনক নয়?

ববিতা আরও বলেন, গতবার আমাকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট দেওয়া হয়। এবার যখন আমার বোনের নাম ঘোষণা করা হয়, তখন আমি আনন্দিত হয়েছিলাম। যদিও আমি মনে করি, আমার বড় বোনের এটা আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল। যা-ই হোক, আমি এবার যেতে চেয়েছিলাম। আমার বড় বোন কোহিনূর আক্তার সুচন্দার হঠাৎ ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়ার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তার যে অনুভূতি সেটাও পড়া হলো না পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে। প্রধানমন্ত্রী জানতেই পারলেন না সুচন্দা কী বলতে চেয়েছিল।  

চলচ্চিত্রশিল্পীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির এ আসরটি প্রায় প্রতিবছরই জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক গ্রহণ করে শিল্পীরা হন ধন্য। কাজের স্বীকৃতি নিয়ে নতুন উদ্যমে কাজে ফেরেন। চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এ আসরে চলচ্চিত্রের দুই মহারথীকে দেওয়া হয় আজীবন সম্মাননা। গতবারের আয়োজনে নায়ক ফারুক ও ববিতাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।  

ববিতা বলেন, আমাদের একেবারে নিচের পর্যায়ে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব না পালন করেন, তাহলে তার প্রভাব সবখানেই পড়ে। আমার বোন উপস্থিত হতে পারছেন না বলে তার অনুভূতি লিখে পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল এটা মঞ্চে পড়ে শোনানো হবে। কিন্তু তা-ও হয়নি। প্রথমবার যখন লিখে পাঠানো হয় তখন বলা হয়েছিল বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করার জন্য। তখন তা করা হয়েছিল। সেন্সর বোর্ডেও পাঠাতে বলা হয়েছিল, তা-ও পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর পড়াই হলো না। প্রধানমন্ত্রী জানতে পারলেন না আমার বোনের অনুভূতির কথাগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
ওএফবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।