লেখক হিসেবে জহির রায়হানের যেমন রয়েছে বিপুল পাঠকপ্রিয়তা, তেমনি একজন নন্দিত চলচ্চিত্রকার হিসেবেও তার রয়েছে ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা।
‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘বেহুলা’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘স্টপ জেনোসাইড’-এর মতো কালজয়ী চলচ্চিত্রের স্রষ্টা তিনি।
জহির রায়হানের চলচ্চিত্রকর্ম নিয়ে লেখা এই গবেষণাগ্রন্থটি অমর একুশে বইমেলা ২০২১-এ প্রকাশিত হয়েছে আদী প্রকাশন থেকে।
বইটির লেখক আলতামিশ নাবিল বলেন, বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকার উপরের দিকে যে নামটি পাওয়া যায় তা ‘জীবন থেকে নেয়া’ এবং সেরা চলচ্চিত্রকারের তালিকায় অবধারিতভাবে আসে জহির রায়হানের নাম। তবে ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছাড়াও স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে জহির রায়হানের নির্মাণের ঝুলিতে রয়েছে আরও দুর্দান্ত সব কাজ। গবেষণাগ্রন্থটি তার নির্মিত সকল চলচ্চিত্রকে একই বইয়ে এনে সাধারণ পাঠকদের জন্য একটা সামগ্রিক আলোচনার প্রয়াস মাত্র।
জহির রায়হানকে নিয়ে লেখা সহজ চলচ্চিত্রপাঠ, উপ-শিরোনামের এই বইটি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই ব্যক্তিত্বের চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকটি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জানার খোরাক মেটাতে পারলে লেখকের এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে জানান তিনি।
‘লেট দেয়ার বি লাইট’ বইটির নামকরণ করা হয়েছে জহির রায়হানের স্বপ্নের অসমাপ্ত একই নামের সিনেমাটিকে সম্মান জানিয়ে।
লেখক জানান, বইটিতে গুণী এই মানুষটির শুধুমাত্র চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিচালনার দিকটিতে আলোকপাত করা হয়েছে। সিনেমাগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি লেখাগুলোর শেষে যুক্ত করা হয়েছে কিউআর কোড, যার মাধ্যমে মোবাইলে স্ক্যান করেই পাঠকরা দেখতে পারবেন জহির রায়হানের কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলো।
আলতামিশ নাবিল নিয়মিত লেখালেখি ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি ডিজিটাল সার্ভিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে। এ ছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) এর ঢাকা ওয়েস্ট শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে গবেষণাগ্রন্থ ‘মহারাজা তোমারে সেলাম’ এবং বিশ্ব চলচ্চিত্র নিয়ে ‘লুমিয়ের থেকে হীরালাল’ লিখেছেন।
‘লেট দেয়ার বি’ লাইট বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েম। বইমেলায় আদী প্রকাশনে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, স্টল নম্বর ১২৩-১২৪) বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এটি কেনা যাবে রকমারিডটকমসহ দেশের সকল প্রধান বইঘর থেকে।
শিরোনাম ইংরেজিতে হলেও বাংলায় রচিত এই বইটির ইয়ুথ এনগেজমেন্ট পার্টনার হিসেবে রয়েছে সেচ্ছাসেবামূলক সংগঠন জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট ও বাংলাদেশ পজিটিভ ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২১
জেআইএম