গত ১৫ মার্চ সংগীত পরিচালক ও সুরকার ফরিদ আহমেদের পরিবারে ৬ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার মা, স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রী ও ভাইয়ের ৩ সন্তানের শরীরে কোভিড ধরা পড়ে।
২০ মার্চ ফরিদ আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ২১ ও ২৩ মার্চ তিনি টেস্ট করালে করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলে তিনি পুনরায় ২৫ মার্চ টেস্ট করান এবং তখন রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
এরপর ওইদিন রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত পরিচালক। সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসা চলছে তার। বিষয়টি ফরিদ আহমেদ নিজেই জানিয়েছেন।
ফরিদ আহমেদ বলেন, ডা. ফজলুল ইসলাম রিপনের তত্বাবধানে আমার চিকিৎসা চলছে। আমার ফুসফুসে ইনফেকশন আছে, জ্বর এখন নেই। আমাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে, স্যাচুরেশন বেড়ে আবার স্বাভাবিক হচ্ছে।
ফরিদ আহমেদের স্ত্রী শিউলি আক্তার জানান, খাবারের স্বাদ-গন্ধ এখনো ঠিক মতো পাচ্ছেন না ফরিদ আহমেদ। করোনায় তার ফুসফুসের ৬০ ভাগ সংক্রমিত হয়েছে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
ফিরোজ সাঁইয়ের হাত ধরে পেশাদার সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু হয় অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার ফরিদ আহমেদের। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, সুবীর নন্দী, এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎসহ অনেক গুণী শিল্পীর জন্য গান তৈরি করেছেন তিনি।
ফরিদ আহমেদ আড়াই হাজারের বেশি নাটক, চার শতাধিক ধারাবাহিক এবং জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’সহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি ও টিভি অনুষ্ঠানের থিম সং তৈরি করেছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০টি সিনেমায় কাজ করেছি তিনি।
২০১৭ সালের সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২১
জেআইএম